ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩ : শুরুটা ছিল প্রেমের। পরে শুরু হয় প্রতারণা। গোপন মূহূর্তের ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে প্রথমে প্রেমিকাকে অন্যত্র বিয়ে করতে বাধ্য করে। পরে স্বামীর ম্যাসেঞ্জারে ভিডিও পাঠিয়ে সংসার ভাঙার পর পুনরায় শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করে প্রেমিক। এরপর মোটা অংকের টাকা দাবিসহ অন্যান্য বন্ধুদের মন রক্ষার জন্য চাপ দেয় সাবেক প্রেমিকাকে। বন্ধুদের মাঝে সেই ভিডিও ছড়িয়ে দিলে বন্ধুরাও জিম্মি করতে চাইলে বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
Advertisement
এ ঘটনা ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নের পন্থাবাড়ি এলাকায়। প্রতারক প্রেমিকের নাম জাকারিয়া ইসলাম। ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মৃত হযরত আলীর ছেলে। তবে থানায় অভিযোগের কথা শোনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছে জাকারিয়া। ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে কথা মানতে চাপ দেয়া জাকারিয়ার বন্ধু শফিকুল ইসলামও পলাতক। শফিকুল উত্তর পন্থাবাড়ি এলাকার রহিম উদ্দিনের ছেলে।
Advertisement
অভিযোগে ওই ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, জাকারিয়ার সঙ্গে তিন বছর প্রেম চলচিল তার। এ সময় নানাস্থানে তাকে নিয়ে ঘুরে বেড়ান প্রেমিক জাকারিয়া। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করেন। সে সব মূহূর্ত গোপনে মোবাইলে ভিডিও করে রাখে জাকারিয়া।
পরে বিয়ের চাপ দিলে ভিডিও ভাইরালের হুমকি দেয় জাকারিয়া। অন্যত্রে বিয়ে করে সে। তাকেও বিয়ে দেয় বাবা-মা। সেখানে সংসার করছিল। এরমাঝে তার স্বামীর ম্যাসেঞ্জারে শারীরিক সম্পর্কের গোপনে করা ভিডিও পাঠালে স্বামী তাকে ডিভোর্স দেয়। বাবার বাড়িতে আসলে একই ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তার সাথে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করে প্রেমিক জাকারিয়া।
পরে ভিডিওর ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসেন। একই সাথে তার দুই বন্ধুর সাথেও শারীরিক সম্পর্ক করতে বলেন। তাতে রাজী না হলে নিজের মুখ ঝাপসা করে দিয়ে দুটি ভিডিও ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াসটঅ্যাপের মাধ্যমে বন্ধুদের মাঝে ছড়িয়ে দেয় জাকারিয়া।
Advertisement
পরে জাকারিয়ার বন্ধু শফিকুল ইসলাম ওই ভিডিও দেখিয়ে তার সাথে মেলামেশা করতে বলেন। এ ঘটনায় সোমবার রাতে নাগেশ্বরী থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। দুই মিনিট দুই সেকেন্ডের মেলামেশার এবং তিন মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ভিডিও কল রেকর্ডের বিষয়টি এলাকায় এখন আলোচনায়।
অভিযোগের বিষয়ে ওই নারী জানান, সে এতোদিন সম্পর্ক করে তাকে ব্যবহার করেছে। ভিডিওগুলো কখন করেছে তা তিনি জানতেন না। জাকারিয়া তার দুই বন্ধুর সাথে মেলামেশার প্রস্তাব দিয়েছে। বন্ধুদের মিলে তাকে বাজারের মেয়ের মতো বানাতে চায় তারা। বলেন, আমি এখন লজ্জায় বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। বাধ্য হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। ওদের সঠিক বিচার চাই আমি।
এ ব্যাপারে কথা বলতে জাকারিয়ার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। কোথায় আছে পরিবারের লোকজন জানেন না বলে জানান। তবে তার বড় ভাই আব্দুল মোতালেব বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। সঠিক কিনা জানি না। জাকারিয়ার বন্ধু শফিকুলকেও পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী থানায় এসেছিলেন। তার মুখে অভিযোগ শুনে দু’জন পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তখন ছেলেদের পাওয়া যায়নি। বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, মেয়ের পরিবার থেকে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক ভাবে কথা বলার কথা বলেছেন। এছাড়া লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া
