ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ :আজ থেকে ২৩ দিন আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে ৩ বছরের শিশু মো. সিদ্দিককে অপহরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে ) ঢাকা ও গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে র্যাব-২। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার ( ১৯ মে ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় বাসার পাশে শিশু সিদ্দিককে নিয়ে খেলছিল তার আট বছর বয়সী বোন হুমায়রা। তাদের সঙ্গে আরও ছয় থেকে সাতটি শিশু ছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে ওই শিশুদের চকলেট খাওয়ান। তারপর কৌশলে তিন বছর বয়সী শিশু সিদ্দিককে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
Advertisement
র্যাব-২–এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, পীযূষের স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল নিজের সন্তানের ছবি সুজন সুতারকে পাঠিয়ে বলেন, ‘এই ছেলেকে দত্তক দেয়া হবে, আপনাদের পছন্দ হয় কি না বলেন।’ শিশুটিকে রিদ্ধিতার বাসার গৃহকর্মীর সন্তান বলে পরিচয় দেয়া হয়। ওই গৃহকর্মীকে তার স্বামী ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় শিশুটিকে ‘টাকার বিনিময়ে দত্তক’ দেয়া হবে বলেও জানান রিদ্ধিতা।
এরপর ২৬ এপ্রিল দুপুরে পীযূষ তার বাসা সাভার থেকে ঢাকা উদ্যান এলাকায় আসেন। সেখানে কয়েকটি শিশু খেলছিল। তাদের চকলেট খাইয়ে তিন বছরের শিশু সিদ্দিককে অপহরণ করেন। বিকেলে পীযূষ-রিদ্ধিতা দম্পতি রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় এসে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সুজনের কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
Advertisement
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অপহৃত শিশু বিক্রিতে সহায়তাকারী সুজন সুতার র্যাবকে জানান, তার নিকটাত্মীয় পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও স্ত্রীর বড় বোন বেবি সরকার এর একটি সন্তান প্রয়োজন হওয়ায় পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পালের কাছ থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মো. সিদ্দিককে কেনে। এরপর গত ২৬ এপ্রিল রাতে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও বেবি সরকারকে শিশুটিকে গোপালগঞ্জে দিয়ে আসেন।’
আজ থেকে ২৩ দিন আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকা থেকে ৩ বছরের শিশু মো. সিদ্দিককে অপহরণ করা হয়। বৃহস্পতিবার ( ১৮ মে ) ঢাকা ও গোপালগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে র্যাব-২। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Advertisement
শুক্রবার ( ১৯ মে ) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় বাসার পাশে শিশু সিদ্দিককে নিয়ে খেলছিল তার আট বছর বয়সী বোন হুমায়রা। তাদের সঙ্গে আরও ছয় থেকে সাতটি শিশু ছিল। হঠাৎ এক ব্যক্তি এসে ওই শিশুদের চকলেট খাওয়ান। তারপর কৌশলে তিন বছর বয়সী শিশু সিদ্দিককে নিয়ে পালিয়ে যান তিনি।
র্যাব-২–এর অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, তদন্তে নেমে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা, গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় নিশ্চিত হওয়া যায়, অপহরণকারী ব্যক্তির নাম পীযূষ কান্তি পাল (২৯)। পীযূষ ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল (২৫) গোপালগঞ্জের এক নিঃসন্তান দম্পতির (পল্লব কান্তি বিশ্বাস (৫২) ও বেবী সরকার (৪৬)) কাছে শিশুটিকে দুই লাখ টাকায় বিক্রি করেন। সুজন সুতার (৩২) নামের এক ব্যক্তি এ ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা করেন। শিশু অপহরণ ও বিক্রির সঙ্গে জড়িত এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পীযূষ কান্তি পাল একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্পা সেন্টারে কাজ করতেন। সেখানেই রিদ্ধিতা পালের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০২০ সালে তারা বিয়ে করেন। স্পা সেন্টারে কাজ করার সময় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পীযূষ কান্তি। গত বছর মানব পাচারের অভিযোগে বনানী থানায় তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার কিছুদিন পর তিনি জামিনে মুক্ত হন। এই দম্পতি ফেসবুকে ‘সনাতনী উদ্যোক্তা ফোরাম (এসইউএফ)’ নামে একটি গ্রুপে ‘শিশু দত্তকের’ বিজ্ঞাপন দেন। সেই গ্রুপে সুজন সুতারের সঙ্গে রিদ্ধিতা পালের পরিচয় হয় এবং টাকার বিনিয়মে শিশু দত্তক দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
র্যাব-২–এর অধিনায়ক আনোয়ার হোসেন খান বলেন, পীযূষের স্ত্রী রিদ্ধিতা পাল নিজের সন্তানের ছবি সুজন সুতারকে পাঠিয়ে বলেন, ‘এই ছেলেকে দত্তক দেয়া হবে, আপনাদের পছন্দ হয় কি না বলেন।’ শিশুটিকে রিদ্ধিতার বাসার গৃহকর্মীর সন্তান বলে পরিচয় দেয়া হয়। ওই গৃহকর্মীকে তার স্বামী ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় শিশুটিকে ‘টাকার বিনিময়ে দত্তক’ দেয়া হবে বলেও জানান রিদ্ধিতা।
এরপর ২৬ এপ্রিল দুপুরে পীযূষ তার বাসা সাভার থেকে ঢাকা উদ্যান এলাকায় আসেন। সেখানে কয়েকটি শিশু খেলছিল। তাদের চকলেট খাইয়ে তিন বছরের শিশু সিদ্দিককে অপহরণ করেন। বিকেলে পীযূষ-রিদ্ধিতা দম্পতি রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় এসে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে সুজনের কাছে শিশুটিকে বিক্রি করে দেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অপহৃত শিশু বিক্রিতে সহায়তাকারী সুজন সুতার র্যাবকে জানান, তার নিকটাত্মীয় পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও স্ত্রীর বড় বোন বেবি সরকার এর একটি সন্তান প্রয়োজন হওয়ায় পীযূষ কান্তি পাল ও তার স্ত্রী রিদ্ধিতা পালের কাছ থেকে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে মো. সিদ্দিককে কেনে। এরপর গত ২৬ এপ্রিল রাতে পল্লব কান্তি বিশ্বাস ও বেবি সরকারকে শিশুটিকে গোপালগঞ্জে দিয়ে আসেন।’
