ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কুমিল্লা প্রতিনিধি,বুধবার, ১৭ মে ২০২৩ : ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর সনদপত্র উত্তোলনের ফরমে স্বাক্ষর না করা ও সনদপত্র আটকে রাখার হুমকিদাতা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা তানিয়া আক্তার ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
Advertisement
বুধবার (১৭ মে) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস ক্লাবের অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু তাহের ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে তানিয়া আক্তার নিজের ভুল অনুধাবন করে ক্ষমা চান।
Advertisement
এসময় তিনি ফোনকলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী জারিফাহ তাসমিয়াহ প্রেরণা ও রিদওয়ানুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন এবং নিজের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
Advertisement
দুঃখ প্রকাশের বিষয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, ‘আজকেই আমরা কথা বলে এটা মিউচুয়াল করেছি। আসলে এটা একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। যে শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমনটি হয়েছে তার কাছে আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি। উনিও ঘটনাটিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা হিসেবেই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখছেন। আশা করি এ নিয়ে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, ‘গত সোমবার সার্টিফিকেটে সাইন করা নিয়ে অর্থ ও হিসাব দপ্তরের এক কর্মকর্তার সঙ্গে আমার অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটে। তবে ঐ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সার্ভিস প্রদানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আরও সচেতন থাকবেন বলে তারা জানিয়েছেন। তাই আমি এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীবান্ধব পরিবেশ পাওয়ার প্রত্যাশা রাখছি।’
এই বিষয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি মো. আবু তাহের বলেন, ‘মানুষ ভুলের উর্ধ্বে না। একটা অনাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝি হয়ে গেছে, সেটার সমাধানও করেছি আমরা। আমরা আশা করবো ভবিষ্যতে এমন ঘটনা যেন না ঘটে।’
Advertisement
উল্লেখ্য, গত সোমবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের হিসাব কর্মকর্তা তানিয়া আক্তারকে ‘ম্যাডাম’ সম্বোধন না করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ( জারিফাহ তাসমিয়াহ প্রেরণা ও রিদওয়ানুল ইসলাম) স্নাতকের সনদ উত্তোলনের ফরমে স্বাক্ষর করেননি এবং সনদ আটকে রাখার হুমকি দিয়েছিলেন।