ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ : ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদাসহ (বীর বিক্রম) ৩ মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তা হত্যা মামলায় এরই মধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া এ মামলার একমাত্র জীবিত আসামি ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর (অব.) আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।
তদন্তসংশ্লিষ্ট এক পুলিশ কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত বুধবার শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা দায়েরের পর আব্দুল জলিলকে গ্রেপ্তারে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ঢাকার বাইরেও তার গ্রামের বাড়ি, আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা যেসব আসামি রয়েছেন, তাদের সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর অভ্যুত্থান পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্যে ৩ মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনার ৪৮ বছর পর গত বুধবার মামলা দায়ের করা হয়েছে। খন্দকার নাজমুল হুদা ছাড়া হত্যাকাণ্ডের শিকার বাকি ২ সেনা কর্মকর্তা হলেন- মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) ও এ টি এম হায়দার (বীর উত্তম)।
কর্নেল নাজমুল হুদার মেয়ে সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এজাহারে বলা হয়, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ‘সেনাবাহিনীর বিপথগামী, বিশৃঙ্খল সদস্যদের হাতে’ নিহত হন কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা। ওই সময় তিনি সেনাবাহিনীর ৭২ ব্রিগেডের কমান্ডার ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের দুই সেক্টর কমান্ডার মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ টি এম হায়দার বীর উত্তমকেও একই সময়ে হত্যা করা হয়।
Advertisement
এতে আরও বলা হয়, তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান ও জাসদ নেতা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবু তাহেরের নির্দেশে ২০-২৫ জন সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকের একটি দল নাজমুল হুদাসহ তিন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। ওই ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে একমাত্র ১০ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাবেক মেজর আব্দুল জলিল জীবিত আছেন। তাকেই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।
Advertisement
তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবার তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করছেন। একইসঙ্গে সাক্ষীদের খুঁজছেন। কেউ বেঁচে আছেন কি-না তারও খোঁজ চলছে।
Advertisement
ঘটনাটি পুরনো হওয়ায় তদন্তে সময় লাগবে বলে জানিয়েছে জানিয়ে তদন্তসংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা। তিনি জানান, এ মামলায় অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করার আছে। তদন্তে যে ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা দরকার, সেসব তারা সংগ্রহ করছেন।
Advertisement
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার আজিমুল হক বলেন, বুধবার রাতে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি হয়েছে। এর পর থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রম