গৃহবধূ হত্যা: সাজার ১৮ বছর পর স্বামী-দেবর গ্রেফতার

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফেনী প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ : ফেনীতে যৌতুকের জন্য গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক স্বামী লিটন ওরফে বাবুল ও দেবর সুমনকে ১৮ বছর পর গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-৭)।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুরে ফেনী ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহাবুব আলম এ তথ্য জানান।

Advertisement

এর আগে বুধবার (১০ মে) রাতে কুমিল্লায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। তারা ফেনী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের নোয়াবাদ গ্রামের মৃত আতু মিয়ার ছেলে।
র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মাহাবুব আলম বলেন, ২০০০ সালে ফাতেমা আক্তারের সঙ্গে লিটন ওরফে বাবুলের পরিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের দুটি কন্যাসন্তান আছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী লিটন ফাতেমাকে যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল।

Advertisement

২০০৪ সালের ২০ মে ফাতেমাকে তার স্বামী লিটন ও তার ভাই সুমনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা যৌতুকের ১০ হাজার টাকার জন্য মারধর করেন। একপর্যায়ে ফাতেমাকে মৃত ভেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নির্জন স্থানে ফেলে পালিয়ে যান তারা। স্থানীয়রা মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ফাতেমা শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে তার স্বামী লিটন ও দেবর সুমনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, মামলায় গ্রেফতার হওয়া লিটন ও সুমন জামিনে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান। ২০১১ সালের ২২ মার্চ আসামিদের অনুপস্থিতিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসামি লিটন ও সুমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।

Advertisement


লে. কর্নেল মাহাবুব আলম বলেন,  দীর্ঘ ১৮ বছর নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে দুজনে প্রথমে চট্টগ্রাম পরে কুমিল্লা থাকায় শুরু করেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আসামিদের পরবর্তীকালে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

Advertisement