সাত নভেম্বর নাজমুল হুদা হত্যায় মেজর জলিলকে আসামি করে মামলা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১১ মে ২০২৩ : ১৯৭৫ সালের সাত নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা বীর বিক্রমকে হত্যার ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। শেরে বাংলা থানায় বুধবার মামলাটি দায়ের করেছেন তাঁর কন্যা নাহিদ ইজাহার খান এমপি।

Advertisement

মামলায় নাম উল্লেখ করা একমাত্র আসামী অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুল জলিল। এছাড়া অজ্ঞাত আরও বিশ পঁচিশজনকে আসামী করা হয়েছে।

Advertisement

মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালের সাত নভেম্বর ভোর চারটা থেক সকাল ৮ টার মধ্যবর্তী কোন এক সময় মেজর জলিলের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদাকে হত্যা করে।

Advertisement

শেরে বাংলা থানা পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করে পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধে আট নম্বর সেক্টরের অধীনে বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করেছিলেন শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা।

১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যার দিন; মেজর জেনারেল খালেদ মোশারফ, কর্নেল এটিএম হায়দার ও কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, লেফটেনেন্ট কর্নেল এটিএম হায়দারসহ খেতাবপ্রাপ্ত চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

Advertisement

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে চাকরির সময় ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা অভিযুক্ত হিসেবে আরও অনেকের সঙ্গে আটক হন খন্দকার নাজমুল হুদা। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে বেকসুর খালাস পান তিনি। কিন্তু সেনাবাহিনী থেকে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ সরকার খন্দকার নাজমুল হুদাকে বীর বিক্রম খেতাব দেয়। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ২০২২ সালে মরনাত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন।

এর আগে বাবা হত্যার বিচার চেয়ে সংসদে আবেগময় বক্তব্য দেন খন্দকার নাজমুল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজাহার খান।

Advertisement

বক্তব্যে তিনি তার বাবাকে হত্যার সঠিক তদন্তের পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, তিন নভেম্বর ও সাত নভেম্বরসহ এর পরবর্তী সসব রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত দাবি করেন।