ইরানের ওপর থেকে পশ্চিমাদের আরোপিত আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পরমানু চুক্তির শর্তাবলী দেশটি পূরণ করেছে বলে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থা যে সবুজ সংকেত দিয়েছে তারপরই ইরানের জন্য এলো বহু প্রত্যাশিত এই বার্তা। খবর বিবিসির।
ইরানের উপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবার পর দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদ্যোগ থাকলে কঠিনতর সমস্যাও যে সমাধান করা যায়, এই ঘটনা সেই শক্তিশালী ও আগ্রহোদ্দীপক বার্তাই দিচ্ছে। ইরান যেহেতু তার সব শর্ত পূরণ করে অঙ্গীকার রক্ষা করেছে, তাই ইরানের উপর চাপিয়ে দেয়া বহুপাক্ষিক ও জাতীয় অর্থনৈতিক এবং আর্থিক বিষয়ক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে নেয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক এই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ইরান এখন তার তেল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করতে পারবে। পাশাপাশি দেশের বাইরে ইরানের যে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আটকে দেয়া হয়েছিল সেগুলোও এখন থেকে হাতে পেতে শুরু করবে তেহরান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি, আইএইএ-এর সদরদফতর ভিয়েনায় বলেছেন, এই চুক্তি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতাবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করবে। পরমাণু চুক্তির আওতায় থাকা শর্তাবলী তেহরান পূরণ করেছে, অতএব এর উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যেতে পারে, আইএইএ’এর এই ঘোষণাটি-ই ইরানকে এনে দিয়েছে মুক্তির সুবাতাস।
আইএইএ’এর মহাপরিচালক ইউকিয়া এমানো বলেছেন, পরিবর্তিত এই পরিস্থিতিতে ইরানের সঙ্গে আইএইএ’এর সম্পর্ক এখন একটা নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে। এমানো তার এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বলেছেন, ‘আজকে আমি এখানে এই মর্মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করছি যে, জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইরান প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই রিপোর্ট আইএইএ-এর বোর্ড অফ গভর্নরস এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলেও দাখিল করা হয়েছে।’
পরমাণু চুক্তির শর্তাবলী ইরান পূরণ করেছে বলে জাতিসংঘের পরমাণু বিষয়ক পর্যবেক্ষক সংস্থার ঘোষণা আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ কার্যক্রম থেকে ইরান পিছু হঠায় পৃথিবী এখন আরো নিরাপদ স্থানে পরিণত হয়েছে।