কুমিল্লার দাউদকান্দিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেনকে গুলি করে হত্যায় সরাসরি জড়িত তিন শ্যুটার বিদেশ পালিয়ে গেছেন। এ ছাড়া এ ঘটনায় জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে র্যাব ও পুলিশের হাতে মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর হত্যায় ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, বোরকা ও হিজাব উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (৮ মে) কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এসব তথ্য দেন।
তিনি বলেন, গত কয়েক দিনের অভিযানে তাদের ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- তিতাস উপজেলার জিয়ার কান্দি গ্রামের ৩৩ বছর বয়সী মো. রবি, ৩৪ বছর বয়সী মো. শাহপরান ও একই উপজেলার লালপুর গ্রামের ২৭ বছরের সুমন হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, যাদের গুলিতে যুবলীগ নেতা জামাল হোসেন নিহত হয়েছেন, সেই তিনজন বিদেশে পালিয়ে গেছেন। দীর্ঘ পরিকল্পনার পর জামাল হোসেনকে খুন করেন ঘাতকরা। খুনের আগে একাধিকবার বোরকা পরে ট্রায়াল দেন তারা।
একই কথা বলেছেন র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মোহাম্মদ পাশাও।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার দাউদকান্দির গৌরিপুর বাজারে গত ৩০ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জামাল হোসেন খুন হন। তিনজন বোরকা পরে এসে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।
নিহত জামাল হোসেন তিতাস উপজেলার জিয়ারকান্দি ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে। তিতাস উপজেলায় বাড়ি হলেও তিনি ব্যবসায়িক সূত্রে পাশের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরিপুর বাজারের পাশে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন ও গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ বড়ুয়া।