‘মাদকাসক্ত’ যুবককে হত্যার পর মাটিচাপা, বাবা-ভাই গ্রেফতার (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি,রোববার, ০৭ মে ২০২৩ : নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নূর হোসেন শাকিল (২৫) নামে এক যুবককে হত্যার পর মরদেহ গোপনে মাটিচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

এ ঘটনায় তার বাবা বশির হোসেন বাবুল (৬০) ও ছোটভাই এমাম হোসেনকে (২২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লালপুর গ্রামের আবদুল করিম হাজী বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর রাতে পারিবারিক কলহের জেরে নূর হোসেন শাকিলকে পরিবারের লোকজন হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে মরদেহ গোপন করতে পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়ে গর্ত করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বেগমগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।

Advertisement

তিনি বলেন, বুধবার দুপুরের দিকে এক ব্যক্তি বেগমগঞ্জ থানায় ফোন করে শাকিলের গুমের বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ওই বাড়িতে গিয়ে শাকিলের মা-বাবা ও ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

এসময় শাকিলের বাবা বাবুল মিয়া পুলিশকে বলেন, আমার ছেলে মাদকাসক্ত। মাদক সেবনের জন্য ২০ হাজার টাকা চেয়ে না পেয়ে রাগ করে তিনদিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি।

তবে নিহত শাকিলের ছোট ভাই এমাম হোসেন বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাকিল মাদক সেবনের জন্য টাকা চেয়ে না পেয়ে মা ফাতেমা বেগমকে বেদম মারধর করে। এসময় মা জ্ঞান হারিয়ে ফেললে আমি তার (শাকিলের) গলাটিপে ধরি। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে বাবাকে নিয়ে ওই রাতেই পুকুরপাড়ে গর্ত করে প্লাস্টিক মুড়িয়ে মরদেহ মাটিচাপা দেই।

পুলিশ সুপার জানান, নিহত শাকিল পরিবারের সদস্যের ওপর প্রায় সময় নানা কারণে অত্যাচার করতেন। এসব ঘটনার জের ধরে পরিবারে কলহ দেখা দেয়। শাকিলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মারামারি ও মাদকের দুটি মামলা রয়েছে।

Advertisement

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মো. নাজমুল হাসান রাজিব জাগো নিউজকে বলেন, হত্যাকাণ্ডে যেহেতু পরিবারের লোকজন জড়িত। তাই মামলায় উপযুক্ত বাদী পাওয়া না গেলে পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা মামলা করবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জাগো নিউজকে বলেন, নিহত শাকিলের বাবা গ্রেফতার বশির হোসেন বাবুল ২০০৬ সালের আরও দুটি নিয়মিত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।