ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ০৬ মে ২০২৩ : ঈদের আগে থেকেই অস্থির কুষ্টিয়ার চিনির বাজার। চাঁদরাতে কেজিতে ১৫ টাকা বাড়ে খোলা চিনির দাম। এখনো বিক্রি হচ্ছে সে দরেই। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ ক্রেতা।
Advertisement
একজন ক্রেতা বলেন, বর্তমানে মনে হচ্ছে যেন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। আরেকজন বলেন, সরকারের উচিত এগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনা। কারণ, মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, চাহিদা মতো মিলছে না চিনি। দু-এক বস্তা পেলেও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে অস্থির বাজার।
এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, বড় বড় ডিলার যারা আছে, এরা সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। আরেকজন বলেন, এক বস্তা চিনি কিনতে গেলে কমপক্ষে ২০ দোকান ঘুরতে হচ্ছে। আবার চিনি কিনলে ফর্দ (রশিদ) দিচ্ছে না।
Advertisement
এদিকে বাজারে চিনি সংকটের জন্য মিল মালিকদের দায়ী করলেন কুষ্টিয়ার পাইকাররা। এক পাইকার বলেন, মিল মালিকরা একবার বলেন ডিও নাই। আবার বলেন ডিও কারও কাছে আছে। মণে প্রায় ৩০০ টাকা বেশি। আরেকজন বলেন, মূল্য বাড়ার যখন ভাব থাকে, তখন স্থানীয় মিল মালিকেরা সুযোগ নেয়।
বাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে নজরদারির দাবি জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি রফিকুল আলম টুকুর। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে মুনাফা করে নিচ্ছে। জনগণ হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত এবং জনগণের পকেট খালি হচ্ছে। কাজেই এ ব্যাপারে আশু দৃষ্টি সরকার দিবে, এটাই আমরা প্রত্যাশা করি।’
Advertisement
তবে, নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে তদারকি অব্যাহত আছে বলছেন জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সুচন্দন মন্ডল। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই তদারকি করে দেখবো। কেউ যদি সিন্ডিকেট করে চিনির দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে থাকে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।
কুষ্টিয়ার বাজারে দেখা নেই প্যাকেট চিনির। প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে।