ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নেত্রকোনা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৪ মে ২০২৩ ; স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মুক্তি রানী বর্মনকে প্রায়ই উত্যক্ত করতো কাউসার মিয়া। দিতো প্রেমের প্রস্তাবও। কিন্তু কাউসারের ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি মুক্তি। বরং প্রেম প্রস্তাবের কথা বাড়িতে জানিয়ে দিয়েছিল সে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে মুক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে কাউসার।
নেত্রকোনার বারহাট্টায় স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মনকে হত্যার ঘটনায় কাউসারকে আটকের পর আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আজ বুধবার বেলা পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে কাউসারকে আটক করে। মুক্তিকে হত্যার পর থেকে কাউসার ওই ধানক্ষেতে লুকিয়ে ছিল।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার প্রেমনগর ছালিপুরা এলাকায় মুক্তি রানীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে কাউসার মিয়া। এরপর মুক্তিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিকেল ৫টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
Advertisement
মুক্তি রানী বর্মন উপজেলার প্রেমনগর গ্রামের নিখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে ও প্রেমনগর ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
এদিকে কাউসারকে গ্রেপ্তারের পর ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে বিকেল সাড়ে ৪টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ জানান, বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে নিহত স্কুলছাত্রী মুক্তি রানী বর্মনকে প্রায়ই উত্যক্ত করত কাউসার। এ ঘটনা মুক্তি তার পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মুক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে কাউসার।
Advertisement
তিনি বলেন, ঘটনার পর থেকে কাউসারকে গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। পরে অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বাড়ির পাশের ধানক্ষেত থেকে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় বারহাট্টা থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। কাউসার বর্তমানে ডিবি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মুক্তিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।