সন্ধ্যার মধ্যেই যেসব জেলায় আঘাত হানতে পারে ঝড়

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ০১ মে ২০২৩ : দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বঙ্গোপসাগরে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

সোমবার (১ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেয়া দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ঝড়ের তথ্য দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে, মে মাসে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডায় অধ্যয়নরত একজন পিএইচডি গবেষক।

 

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
 
এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
 
এদিকে রোববার (৩০ এপ্রিল) কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisement

 
এ বিষয়ে সতর্ক করে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, আগামী মে মাসের ৮ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। এটি খুবই শক্তিশালী ঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে ১১ থেকে ১৩ তারিখের মধ্যে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড়টি। এর গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড়টি যদি বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূল দিয়ে যায়, তাহলে সেটি আঘাত করবে ১৩ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে। সে ক্ষেত্রেও এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই আঘাত হানবে। তবে গতি কিছুটা কমে ১২০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার হতে পারে।
 
এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এ ঘূর্ণিঝড়টির নাম হতে চলেছে ‘মোচা’, যার নামকরণ করেছে ইয়েমেন।
 
মে মাসে বিষুবরেখার কাছে সুমাত্রা সাগর অথবা আন্দামান সাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ তৈরি হতে পারে। এটি সেই সময় শক্তি সঞ্চয় করবে এবং পরে তা উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে।
 
তবে এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদরা এখনই এ ঝড়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো পূর্বাভাস দিতে পারেননি।

Advertisement

 
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান সময় সংবাদকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনও কোনো তথ্য নেই। মের ২-৩ তারিখের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য পাওয়া যেতে পারে।’
 
রোববার যশোরে সর্বোচ্চ ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ওইদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ডিমলা, শ্রীমঙ্গল ও কুমারখালীতে ২০.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে ৩৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Advertisement