ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,সোমবার, ০১ মে ২০২৩ : দেশে শ্রমিকের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭ কোটি ৩৪ লাখ। শ্রম জরিপের সব শেষ তথ্য বলছে, গত পাঁচ বছরে আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকের খাতায় নাম লিখিয়েছে প্রায় ১ কোটি।
জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দেশে খানা প্রতি আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। তাল মিলিয়ে বেড়েছে খরচও। রাজধানীর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হেলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ৪০ বছরের ব্যবধানে মাসিক আয় প্রায় ৭০ গুণ বাড়লেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দৈনন্দিন খরচ মেটাতে।
তিনি বলেন, যখন চাকরিতে যোগ দেই তখন ৬০০ টাকা বেতন পেতাম। ওই সময় তাতেই বেশ ভালোই চলতো। কিন্তু, এখন যে বেতন পাই তাতে ঘরভাড়া, খাওয়া খরচ, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়ার খরচ দিয়ে কোনোভাবেই সংকুলান হচ্ছে না।
আরও খারাপ অবস্থা অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের। জানালেন, বছর ব্যবধানে দৈনিক আয় ৫০ টাকা বাড়লেও খরচ বেড়েছে ৩০০ টাকার বেশি।
একজন শ্রমিক বলেন, গত এক বছরে আমার দৈনিক মজুরি বেড়েছে ৫০ টাকা। অথচ, খাওয়া খরচ, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচসহ সংসারের খরচ বেড়েছে ৩০০ টাকা।
খানা প্রতি আয়-ব্যয় বাড়লেও শ্রমিকদের পুষ্টিকর খাবারের পরিমাণ রয়েছে আগের মতোই। পরিসংখ্যান বলছে, খানা প্রতি খাবারের জন্য খরচ কমিয়েছে প্রায় ২ শতাংশ।
একজন শ্রমিক বলেন, আমরা যা খাই, তা না খেয়ে থাকার মতোই।
বিআইডিএস’র সাবেক মহাপরিচালক এম কে মুজেরী বলছেন, পরিসংখ্যানে শ্রমিকের আয় বাড়লেও কমেছে প্রকৃত মজুরি। তিনি বলেন, এই ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফিতির কারণে টাকার অঙ্কে তাদের মজুরি বাড়লেও প্রকৃত মজুরি কিন্তু কমে গেছে। কিন্তু, তাদের জীবন ধারনের মান, সামগ্রিক ক্রয়ক্ষমতা কতটুকু এটা নির্ভর করে প্রকৃত মজুরির ওপর।
অন্যান্য দিনের মতোই প্রতি বছরই ফিরে আসে শ্রমিকদের জন্য এই বিশেষ দিন। আয়োজন করা হয় নজরকাড়া সব অনুষ্ঠানের। চলে দিনব্যাপী আলোচনা। গণমাধ্যমকে সাক্ষী রেখে দেয়া হয় হাজারো প্রতিশ্রুতি। তবু, দিন শেষে অপ্রাপ্তির ঝুলি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় শ্রমিকদের।