ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রতিনিধি,রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ : প্রবাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর পর পরিবারের প্রাপ্য বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয় এক প্রতারক। পরিবারের প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে চক্রটি আর অর্থাভাবে লেখাপড়া বন্ধ হবার পথে নিহতের সন্তানদের। ঘটনাটি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা এলাকার।
Advertisement
নিহত জামির মাতুব্বরের ছেলে ইয়াছিন মাতুব্বর ফরিদপুরের সরকারী রাজেন্দ্র কলেজের রসায়ন তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আর মেয়ে শান্তা ইসলাম সরকারী সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী। তাদের পড়ালেখার খরচ যোগাতে বর্তমানে হিমশিম খাচ্ছেন তাদের মা সালমা বেগম।
Advertisement
স্থানীয় কালামৃধা ইউনিয়নের দোলকুন্ডি গ্রামে অসহায় দিন যাপন করছেন অকালে স্বামীহারা সালমা বেগম অথচ তার কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করে ভোগ করছে আত্মীয় স্বজনরা।
নিহতের ছেলে ইয়াছিন জানান, আমার বাবা ২০১৭ সালে ৬ ডিসেম্বর ইতালিতে এক সড়ক দুঘর্টনায় মারা যান। সেখানকার আইন অনুযায়ী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে অনুদানের টাকা দিতে চায়। উক্ত টাকা উত্তোলনের জন্য একজনকে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হয়। আমরা সেখানে বসবাসরত বাবার পরিচিত ব্যাক্তি শফিক হাওলাদারকে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দেই।
Advertisement
তারপর শফিক হাওলাদার চার লাখ ইউরো যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা উত্তোলন করেন। যার ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে। কিন্তু তিনি আমাদের একটি টাকাও দেননি বরং আমার বড় চাচা কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিটন মাতুব্বর ও মেজ চাচা জুয়েল মাতুব্বর এবং আমার দাদা মোসলেম মাতুব্বরের সঙ্গে মিলেমিশে আমার দাদার একাউন্টে এক কোটি টাকা দেন। উক্ত এক কোটি টাকা থেকেও আমাদের কোন টাকা দেয়া হয়নি।
Advertisement
পরে বাধ্য হয়ে আমার মা বাদি হয়ে ডকুমেন্ট নিয়ে শফিক হাওলাদারের বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় মামলা করেন। গত ৩১ মার্চ গ্রেপ্তার হন শফিক হাওলাদার। পরে ১ এপ্রিল তাকে ফরিদপুরের আদালতে হাজির করা হয়।
শফিক হাওলাদারকে টাকা দেয়ার শর্ত আপসে জামিন দেন আদালত। আগামী ৮মে মামলার পরবর্তী শুনানি কিন্তু এখনও আমাদের পরিবারকে একটি টাকাও দেয়নি শফিক।