প্রতারণা করে এরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,রোববার, ৩০ এপ্রিল ২০২৩ : চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বারের পরিচালক ফাতেমা বেগম অভিনব প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। প্রথমে প্রবাসী ও তাদের স্ত্রীদের টার্গেট করে গড়ে তোলেন সম্পর্ক। পরে ব্যবসার পার্টনার করার কথা বলে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান বিভিন্ন দেশে। মূলত ফাতেমা-হাবিব প্রতারকচক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছে অনেকেই। পাওনা টাকা চাইলে মামলাসহ বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হুমকি-ধমকি দেন।

Advertisement

এক সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায় হাবিব দলবল নিয়ে ব্যবসায়িক পার্টনার হোসাইনের বাসায় এসে হুমকি দিচ্ছেন। পাওনা টাকা না পেয়ে ফিল্মি কায়দায় ভয় দেখিয়ে হুমকি দেয় এক প্রতারকচক্র।

এই চক্রের মূল হোতা চট্টগ্রাম উইমেন চেম্বার পরিচালক ফাতেমা বেগম ও তার ভাই পরিচয় দেয়া হাবিবুর রহমান। তারা দুজনই ধনাঢ্য ও প্রবাসী দেখে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন।

তাদের সেই প্রতারণার ফাঁদে পা দেন লন্ডন প্রবাসী হোসাইন। ২০১৭ সালে পরিচয় হয় উইমেন চেম্বার পরিচালক ফাতেমার সঙ্গে। পরে হোসাইন ও তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ফাতেমা। দম্পতিকে রাজি করান বিদেশে না গিয়ে তার ব্যবসায় পার্টনার হতে।

Advertisement

অবশেষে নগরীর সুগন্ধা আবাসিকে ডেইরি ফেয়ার নামে একটি সুপার শপ দেখিয়ে পার্টনার করেন প্রবাসী হোসাইনকে। ২০১৯ সালের প্রথমে ২৫ লাখ পরে ১৫ লাখ ও ৪৫ লাখ টাকাসহ চুক্তির মাধ্যমে মোট ৯০ লাখ নেয় চক্রটি। প্রথম কয়েক মাস ভালো ব্যবসা করলেও পরে দুবাই পালিয়ে যায় ফাতেমা-হাবিব। পরে সুপারশপে নানা মানুষ এসে পার্টনার হওয়ার দাবি করলে প্রতারণা টের পায় হোসাইন। পার্টনারশিপের টাকা ফেরত চাওয়ায় বাসায় সন্ত্রাসী হামলাসহ জেলও খাটতে হয় হোসাইনকে।

Advertisement

ভুক্তভোগী লন্ডন প্রবাসী মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, ‘অন্যান্য পার্টনার এসে আমাকে জিজ্ঞেস করতেছে আজকে কত সেল হইছে, আজকে কত আমদানি হইছে। তো আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনারা কারা? তারা বলল আমরা এই সুপার শপের পার্টনার।’

একইভাবে আগ্রাবাদের এক ব্যাংকারের কাছ থেকে ৬৪ লাখ, দিনাজপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকাসহ কৌশলে দুই কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছে ৫-৬ জনের এই চক্রটি।

Advertisement

পুলিশ বলছে, প্রতারকচক্রটিকে দ্রুত ধরার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার বিজয় বসাক বলেন, এ রকম প্রতারকচক্র যদি কোথাও থেকে থাকে অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব। এই প্রতারকচক্রগুলোকে খুঁজে বের করার জন্য আমরা আমাদের বিট পুলিশকে সাহায্য করব।