ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কক্সবাজার প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৩ : মাছ ধরতে নয়, ডাকাতি করতে সাগরে গিয়েছিলো মহেশখালীর শামসু মাঝির ট্রলার। ডাকাতির মূল পরিকল্পনাকারী সুমন মাঝি। তবে এবার আর ডাকাতি করে রেহাই পায়নি সুমনের দল।
Advertisement
বেশ কয়েকটি ট্রলার দল বেঁধে শামসু মাঝির ট্রলারে হামলা করে মেরে ফেলে ডাকাতদের। কিন্তু রহস্যজনকভাবে বেঁচে ফিরেছে সুমন।
মরদেহ চিহ্নিত করতে এসে নিহতদের একজনের অভিভাবক জানিয়েছিলেন তার সন্তানকে সাগরে পাঠিয়েছিল সুমন।
তারপর সুমনের খোঁজে নামে একাত্তর। সোনাদিয়ার বাসিন্দা সুমনের নামে অস্ত্র ও ডাকাতির দুটি মামলা রয়েছে।
Advertisement
২০১৮ সালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সে আত্মসমর্পণ করেছিলো। জেল থেকে বের হয়ে আবারো শুরু করে ডাকাতি। ডুবন্ত ট্রলারে ১০ মরদেহ পাওয়ার পরই গা-ঢাকা দিয়েছে সে।
যেদিন ছয়জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করছিল পুলিশ, সেদিনই একজনের সাথে ফোনে কথা হয় সুমনের। সুমনকে বলতে শোনা যায়, তাদের সাগরে পাঠানো হয়েছিলো ডাকাতি করতে, মরতে নয়।
Advertisement
ওই ব্যক্তিকে সুমন আরো বলে, রমজান মাসে মারা যাওয়া সৌভাগ্যের।
বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, ৭ই এপ্রিল মাত্র ২টি অস্ত্র ও ১০ রাউন্ড গুলি নিয়ে সাগরে অন্য ট্রলারের মাছ, জাল, লুট করতে পাঠিয়েছিল সুমন। তারা প্রথমে সাগরের মাঝখানে বাইট্টা কামালের মালিকানাধীন আনোয়ার মাঝির ট্রলারে হামলা করে।
১৪ জেলেকে সাগরে ফেলে দিয়ে তারা ট্রলারটি নিয়ে পালানোর সময় বাবুল মাঝি, আমানুল্লাহ ও আবছার মাঝির তিনটি ফিশিং ট্রলার এসে ডাকাতদের ঘিরে ফেলে।
Advertisement
তিনঘণ্টা চেষ্টার পর ডাকাতের বোটটি নিয়ন্ত্রণে আনে জেলেরা। এসময় গণপিটুনি দিয়ে ডাকাতদের মেরে ফেলে ট্রলারটি ভাসিয়ে দেয়।
এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার বাইট্টা কামালসহ দুইজনকে নেয়া হয়েছে রিমান্ডে।