ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ২১ এপ্রিল ২০২৩ : ঈদযাত্রার শেষ দিনে হঠাৎ মহাখালী বাস টার্মিনালে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। আর এই সুযোগে বাস সঙ্কটের ছুতোয় ভাড়া দুই থেকে তিন গুণে বেশি আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীদের আরও অভিযোগ, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে প্রতিবাদ করলে গায়ে হাত তুলতে পিছপা হচ্ছে না পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
Advertisement
অপরদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। যাত্রীখরায় সেখানে কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের একরকম ‘জামাই আদর’ করেই বাসে ডেকে ডেকে তোলা হচ্ছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) মহাখালী বাস টার্মিনালের যাত্রীরা জানান, দীর্ঘক্ষণ বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাদের কেউ এসেছেন রাত তিনটায়, আবার কেউ সেহরি করেছেন টার্মিনালেই।
Advertisement
কাউন্টারের সামনেও গিজগিজ করা মানুষগুলো ধৈর্য হারিয়ে কাঙ্ক্ষিত টিকেটের জন্য বসে পড়েছেন খোলা আকাশের নিচে। তাদের অভিযোগ, পরিবহন সঙ্কটের কথা বলে দুই থেকে তিন গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
এদিন টার্মিনালে যাত্রীদের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী আলম এশিয়া পরিবহনের (ময়মনসিংহ ব- ১১-০১১৭) একটি গাড়ি ঘোষণা দিয়েই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে।
অভিযোগ আছে শাহজালাল পরিবহনের বিরুদ্ধেও। ঢাকা থেকে নেত্রকোণা পর্যন্ত ৩৬০ টাকার ভাড়া ৮০০ থেকে হাজার টাকা আদায় করছে। এমনকি প্রতিবাদ করলে যাত্রীদের ধরে পেটানোর অভিযোগও আছে পরিবহনটির স্টাফদের বিরুদ্ধে।
অপরদিকে সায়েদাবাদ আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া পরিবহনেও দিগুণ ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিলো ঘরমুখো যাত্রীদের। সেই সঙ্গে ট্রাফিক অব্যবস্থাপনায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রাবাড়ীতে গাড়ি আটকে থাকার মতো ঘটনাও ছিলো ঈদ যাত্রার শেষ দিনে।
এদিকে একেবারেই যাত্রী চাপ নেই গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে। ঈদের এক বা দুদিন আগে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে এমন যাত্রীখরা দেখা গেছে। এ পরিস্থিতিতে অনেক বাস মালিকই কাউন্টার বন্ধ রেখেছেন।
Advertisement
এর মধ্যে অল্পসংখ্যক যাত্রী গাবতলীতে এলে কাউন্টারের কর্মী ও বাসের সহকারীরা রীতিমতো ‘জামাই আদর’ করছেন। সহজেই যেমন মিলছে টিকিট, তেমনি যথাসময়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে বাসগুলো
টার্মিনালটির পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল; এমনকি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলাচল করা বাসগুলোও এখন গাবতলী টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না।
Advertisement
পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করায় যাত্রী ও নিজেদের সুবিধার্থে এসব বাস সায়েদাবাদ, গুলিস্তান, মালিবাগ, যাত্রীবাড়ী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। ফলে গাবতলীতে ঈদের এক-দুদিন আগেও এখন চরম যাত্রীখরা।
Advertisement
তাদের আশা, গাবতলী থেকে সায়েদাবাদ পর্যন্ত বাইপাস হলে সুদিন ফিরবে।
তবে গত কয়েক দিনের মতো কমলাপুর রেল স্টেশনে চিত্র ছিল একই। একেবারেই নিঝঞ্ঝাট যাত্রা করছেন রেলের যাত্রীরা।