শনিবার চঞ্চল চৌধুরী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘বাংলা বছরের প্রথম দিনটা পার হয়ে গেল। অভ্যাসটা ছিল বাবা-মাকে ফোন করে শুভ নববর্ষ বলা, আশীর্বাদ নেওয়া। এবার আর ফোনে বাবাকে পাইনি…কয়েক মাস আগে বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন অনন্তলোকে।
Advertisement
আমার ভেতরটা যে কি কয়, কেমন করে বাবার জন্য, কাউকেই বোঝাতে পারি না। হঠাৎ করেই যখন মনে হয় বাবা নেই, চারপাশটা অন্ধকার লাগে, দম বন্ধ হয়ে আসে। বাবা ছাড়া কয়টা মাস, কি যেন এক ঘোরের মধ্যে বাস করছি। সমস্ত অস্তিত্বজুড়ে যেন বাবার চলাফেরা।’
শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে এই তারকার। বাবাকে ছাড়া সেসব স্মৃতি যেন আরও বেশি নাড়া দেয়। তিনি সেসব স্মৃতি স্মরণ করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছোট্ট বেলার আবছা রাতের স্মৃতি ভেসে উঠছে চোখের সামনে। তখন গ্রামে বিদ্যুৎ আসেনি। অবিচল দুটো হাত সারা রাত পালাক্রমে তালপাখায় বাতাস দিয়ে ঘুম পাড়াচ্ছে আমাকে। হাত দুটো ছিল বাবা আর মায়ের।
Advertisement
কি যে নেশা গো ওই পাখার বাতাসে। ভেজা চোখে এখনো দেখতে পাচ্ছি ওই হাত, দুটি হাত, তালপাখা। বাবা নেই, বাবা আমার কাছে বেশি করে আসে ইদানিং। আজ রাতেও এল এই গরমে, তালপাখা হাতে নিয়ে, আমাকে বাতাস দিয়ে ঘুম পাড়াতে।’
মনের অজান্তেই নতুন অভ্যাস হয়েছে চঞ্চল চৌধুরীর। মোটা ফ্রেমের চশমা পরা, ব্যাক ব্রাশ করে সিঁথি করে চুল আঁচড়ানো। এগুলো তাকে বাবার মুখোমুখি করে। এ প্রসঙ্গে চঞ্চল লিখেছেন, ‘ইদানিং আমার চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা আর ব্যাক ব্রাশ করা চুল দেখলেই আমার ভাইবোনেরা বলে, আমি নাকি দেখতে দিন দিন বাবার মতো হয়ে যাচ্ছি।
Advertisement
আজ গরমের মধ্যে যখন বসে আছি ড্রয়িংরুমে, বিদ্যুৎ নেই, হঠাৎ নিজেকে দেখেই চমকে উঠলাম। সত্যিই তো, আমি তো দেখতে বাবার মতোই হয়ে যাচ্ছি! বাবাকেও দেখতাম গরমের মধ্যে তালপাখা হাতে এ রকম বসে থাকতে।’