কাঁধে বিড়াল ওঠা সেই ইমামের নামাজ কি সঠিক ছিল? (ভিডিও)

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ : পবিত্র রমজানে মসজিদে তারাবিহ নামাজ পড়াচ্ছিলেন আলজেরিয়ার ইমাম শায়খ ওয়ালিদ আল মাহসাস। এমন সময় তার পালিত বিড়াল এসে ইমামের কাঁধে উঠে বসে। এ ঘটনায় ইমামের শান্ত ও দৃঢ় অবস্থানের বিষয়টি বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

Advertisement

তবে প্রশ্ন জেগেছে, নামাজের মাঝপথে হঠাৎ বিড়ালটি সামনের দিক থেকে ইমামের কাঁধে লাফিয়ে ওঠার পর ইমাম কেরাত পড়া অবস্থায় এক হাত দিয়ে বিড়ালের প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন তাতে নামাজে কি কোনো সমস্যা হয়েছিল? ইমামের সেই নামাজ কি সঠিক ছিল?

Advertisement


প্রথমত, বিড়াল এমন গৃহপালিত প্রাণী যাকে পোষ মানানো এবং নিজের মালিকানায় রাখা জায়েজ। আর এ বিষয়ে আলেমরা বলেন, নামাজের সময় যদি নামাজবিরোধী এমন কোনও কাজ ঘটে যাতে সেই কাজকে ‘আমলে কাসির’ বলে গণ্য করা যায়, তাহলে তা নামাজ ভঙ্গের কারণ হবে।

Advertisement


ইলমে ফেকাহর কিতাবগুলোতে আমলে কাসিরের কয়েকটি প্রকার বর্ণনা করা হয়েছে। একটি বর্ণনায় আছে, নামাজের মধ্যে নামাজবিরোধী কোনও কাজকে ধারাবাহিকভাবে তিনবার করাকে। আরেকটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, যেই কাজে দুই হাতের ব্যবহার করা হয় তাকে আমলে কাসির বলা হয়।
তৃতীয় আরেকটি বর্ণনায় বলা হয়েছে, আমলে কাসির এমন কাজকে বলা হয়, যাতে দূর থেকে কেউ নামাজিকে দেখে মনে করে যে তিনি নামাজে নেই। এই বর্ণনাটি ফেকাহবিদদের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য।

Advertisement

 
এখন দেখা যায়, বিড়াল কাঁধে উঠার পর ইমাম এমন কোনও কাজ করেননি যাকে ‘আমলে কাসির’ বলে গণ্য করা যায়। এই দিক বিবেচনাতেও তার নামাজ শুদ্ধ হয়েছে।

আলজেরিয়ার একটি মসজিদে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়, নামাজের মাঝপথে হঠাৎ বিড়ালটি সামনের দিক থেকে ইমামের কাঁধে লাফিয়ে ওঠে। এ সময় কোনো বিরক্তবোধ করেননি ইমাম। বরং তিনি বিড়ালের সঙ্গে খুবই বিনয়ী আচরণ করেন এবং কোরআন পড়ে যাচ্ছিলেন। এমনকি ইমামের মুখের সঙ্গেও মুখ লাগায় বিড়ালটি। এরপর রুকুতে যাওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে বিড়ালটি কাঁধ থেকে নেমে যায়।

Advertisement


উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে আলজেরিয়ার একটি মসজিদে তারাবিহ নামাজে কোরআন তেলাওয়াতের সময় শায়খ ওয়ালিদ মাহসাস নামের এক ইমামের বুক হয়ে কাঁধে লাফিয়ে উঠে একটি সাদা-ধূসর রঙের বিড়াল। তারপরও নামাজে সুরা তেলাওয়াত চালিয়ে যান ইমাম।