ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য গবেষণায় আইসিসি

SHARE

1773ক্রিকেটের অভিজাত আঙ্গিনায় প্রবেশের পর তিক্ত সব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়েই যেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। একসময় বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস কেড়ে নেয়ার শত শত প্রস্তাব বাতাসে উড়েছে। সেই সময় আজ ইতিহাস হয়ে গেছে। সব সমালোচনা আর গালিগালাজকে ইতিহাস বানিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ আইসিসির কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। আর এ রোল মেডেল মেনে পাপুয়া নিউগিনি, নেপাল, বার্বাডোজসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ উন্নতি করতে পারে। তা নিয়ে গবেষণা করতেই ঢাকায় অবস্থান করছেন আইসিসির প্রতিনিধি ও অস্ট্রেলিয়ার ডেকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিলা নিউগেন।

গত কয়েক বছরে বিপুল বিক্রমে উন্নতি করছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। ২০১৪ সালের শেষভাগ থেকে ২০১৫ সালে এসে যা বিরাটাকায় রুপ নিয়েছে। এক টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। টাইগাররা হারিয়েছে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিধর দলকে। বছরের প্রারম্ভে ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে ভূপাতিত করে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল মাশরাফি বাহিনী। এবার তাই বাংলাদেশকে রোল মডেল বানিয়ে সহযোগী দেশগুলোর সামনে তুলে ধরবে আইসিসি।

কিভাবে এতো এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট। তা নিয়ে গবেষণা করতেই আইসিসির প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশে এসেছেন অস্ট্রেলিয়ার ডেকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিলা নিউগেন। ক্রিকেটে এদেশের সাফল্যের নেপথ্যের কারণগুলো খুঁজে পাপুয়া নিউগিনি, বারবাডোস, নেপালের মতো দেশগুলোর সামনে বাংলাদেশকে রোলমডেল হিসেবে তুলে ধরবে আইসিসি। আর এ গবেষণায় শিলা নিউগেনকে সহযোগিতা করছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও আইসিসির ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

বিসিবির স্বকীয়তা, সরকারের সমর্থন, মিডিয়ার ভূমিকা সহ অনেক বিষয়কেই বাংলাদেশের সফলতার কারণ হিসেবে দেখছেন শিলা। এই গবেষণায় তার সহযোগী বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল মনে করেন, এটা বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।

শিলা নিউগেন বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেটের আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপট, ক্রিকেট বোর্ডের সক্রিয়তা, সরকারের সহায়তা, দর্শকদের সমর্থন, নিয়মিত খেলা মাঠে গড়ানো, কমার্শিয়াল পার্টনারদের আগ্রহ, মিডিয়ার ভূমিকা সবকিছুর কারণেই বাংলাদেশের ক্রিকেট এতো এগিয়েছে। আইসিসি চায় যেসব সহযোগী দেশে ক্রিকেট খেলা হয় তারা যেন বাংলাদেশকে রোল মডেল মানে।

তিনদিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন শিলা নিউগেন। শুক্রবার ঢাকা ত্যাগ করে আইসিসির কাছে রিপোর্ট করবেন ডেকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অধ্যাপক।