ঢাকা থেকে ফাঁসির আসামি ধরল সাতক্ষীরা পুলিশ

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৩ ; স্ত্রী হত্যার দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আবদুল আজিজকে (৫৪) রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সাতক্ষীরায় সদর থানা পুলিশ।

Advertisement

বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে তাকে সায়েদাবাদ এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটক আবদুল আজিজ সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকার মৃত এন্তাজ সরদারের ছেলে।

Advertisement

সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান জানান, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে থানার উপপরিদর্শক লোকমান হোসেন, সহকারী উপপরিদর্শক আনিচুর রহমান ও কনস্টেবল লেলিনসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় আবদুল আজিজ নামের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে আটক করা হয়।

Advertisement

আবদুল আজিজকে ২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর স্ত্রী হত্যার দায়ে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেন। এরপর থেকে তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। রায়ের পর প্রথমে তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর পরে কিশোরগঞ্জ এবং শেষে ঢাকার সাইদাবাদ এলাকায় আত্মগোপন করেছিলেন। আটকের পর তাকে আদলতে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরে এলাকার এন্তাজ সরদারের ছেলে আবদুল আজিজের সঙ্গে সদর উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে রেহেনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের দাবিতে রেহেনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতেন স্বামী আবদুল আজিজ ও তার পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করে রেহেনা। পরে ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেলে আবদুল আজিজের নিজ বাড়িতে রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত রেহেনার চাচা শওকত আলী সরদার পরদিন বাদী হয়ে আবদুল আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি জহুরুল হায়দার জানান, ১৯৯৮ সালে আসামি আজিজ ও তার ভাই রুহুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে আসামি রুহুল কুদ্দুস মারা যান। আর আসামি আজিজ পলাতক ছিলেন।

Advertisement

তিনি আরও জানান, ২০২২ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মামলার নথি ১২ জন সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি আবদুল আজিজের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।