ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আ্রন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ : বাঞ্জি জাম্পিংয়ের মাধ্যমে রোমাঞ্চ উপভোগ করতে গিয়ে মরতে বসেছিলেন এক পর্যটক। তবে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গেছেন তিনি। গত জানুয়ারিতে থাইল্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। যেখানে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন তিনি।
দুর্ঘটনাটি গত জানুয়ারিতে ঘটলেও চলতি মার্চে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটি প্রকাশ করেছেন মাইক নামের ওই পর্যটক নিজেই।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ৩৯ বছর বয়সি পর্যটক তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
Advertisement
অনলাইনে হয়রানি এড়াতে শুধু প্রথম নাম মাইক ব্যবহার করে ওই পর্যটক বলেছেন, জানুয়ারিতে ছুটি কাটাতে পাতায়া শহরের একটি ১০ তলা উঁচু পডিয়াম থেকে একটি সোয়ান ডাইভ দিয়েছিলেন।
মাইকের কপাল ভালো। যেখান থেকে তিনি লাফ দিয়েছিলেন তার নিচে ছিল পানি। বাঞ্জি জাম্পের সময় যখন মাঝামাঝি অবস্থানে ছিলেন তখন তার গায়ে বেঁধে দেওয়া দড়িটি ছিঁড়ে যায়। তিনি পড়েন পানিতে।
Advertisement
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে মাইক বলেন, আমার শরীরের বাম পাশ পানিতে আঘাত করে। তাই শরীরের এই অংশে ব্যথা পেয়েছি বেশি। পরে মনে হয়েছে আমাকে কেউ খুব জোরে মারধর করেছে।
মাইকের সঙ্গে আসা বন্ধুরা চাংথাই থাপপ্রায়া সাফারি ও অ্যাডভেঞ্চার পার্ক থেকে তার দড়ি ছিঁড়ে পড়ে যাওয়া দেখেছেন।
Advertisement
তিনি বলেছেন, তিনি মূলত পার্কে গিয়েছিলেন ফায়ারিং রেঞ্জ পরীক্ষা করার জন্য। কিন্তু তার বন্ধুরা চ্যালেঞ্জ করায় তিনি বাঞ্জি জাম্প দেওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নেন।
তার কথায়, ভবনটি সত্যিকার অর্থে অনেক উঁচুতে ছিল, তাই আমি চোখ বন্ধ করে ফেলি। যখন দড়িটে টান পড়ার পর আবার উপরে উঠতে শুরু করব, তখন আমার চোখ খোলার পরিকল্পনা ছিল। যখন বুঝতে পারি যে আমার দড়ি ছিঁড়ে গেছে, তখন চোখ খুলে দেখলাম আমি পানির মধ্যে। দুই পায়ের নিচের দিকে দড়ি বাঁধা থাকার পরও পানিতে ভেসে উঠতে সক্ষম হই। সাঁতার না জানলে বড় সমস্যায় পড়তে হতো।
Advertisement
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটার পর পার্ক কর্তৃপক্ষ তার বাঞ্জি জাম্পিংয়ের অর্থ ফেরত দেয়, সঙ্গে আরও প্রায় ৩০০ ডলার জরিমানা দেয়। ওই অর্থ দিয়ে এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান তিনি।