ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩ : মালয়েশিয়ায় যে কাজের কথা বলে নেয়া হয়েছে সেটি পাননি কিছু শ্রমিক। একটি রেস্তোরাঁয় মানবেতর দিন কাটানো এমন ৩৪ জন অভিযোগ করেছেন চ্যানেল 24-এর কাছে। অথচ সরকার নির্ধারিত খরচের থেকে ৫ গুণ বেশি টাকা দিতে হয়েছে। তাদের অভিযোগ দেশীয় রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে।
Advertisement
মালয়েশিয়ায় শ্রমবাজার উন্মুক্ত হবার পর এ পর্যন্ত যে ১ লাখ ২০ হাজার বাংলাদেশি গেছেন দেশটিতে, তাদের কয়েকজন নিজেদের দুর্দশার চিত্র পাঠিয়েছেন চ্যানেল 24-কে।
Advertisement
দেশীয় রিক্রুটিং এজেন্সি যে কাজ দেবে বলে নিয়ে গিয়েছিল তা তো নিশ্চিত হয়ইনি, বরং দিন কাটছে অর্ধাহার-অনাহারে। মালয়েশিয়া সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে তাদের ঠিকানা হয়েছে রেস্তোরাঁয়।
কাজের খোঁজে মালয়েশিয়ায় যেতে বিমান ভাড়াসহ সরকার নির্ধারিত খরচ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু প্রবাসে জীবন গড়ার অদম্য বাসনা বা লোভ, যে কারণেই হোক মালয়েশিয়া যেতে একেকজন গড়ে খরচ করছেন ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। প্রশ্ন হলো কেন এতো অনিয়ম?
Advertisement
রিক্রুটিং এজেন্সি রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার তাসনিম সিদ্দিকী বলেন, যারা সিন্ডিকেটের ভেতর রয়েছেন তারা অনেকে মন্ত্রণালয়ের থেকে অনেক বেশি পাওয়ারফুল। যিনি যাচ্ছেন তার লক্ষ্য একটাই, টাকা বেশি নিলেও আমাকে কাজ দেবেন।
যদিও রিক্রুটিং এজেন্সির এই কর্মকর্তার দাবি, কর্মীদের কাগজপত্র ঠিক করতেই সময় লাগছে। জিএমজি ট্রেডিং প্রাইভেট এজেন্সি লিমিটেডের দূতাবাস প্রতিনিধি নুরুল আমীন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কাগজপত্র আপডেট করতে। আপডেট হলে কর্মস্থলে যেতে পারবে।
Advertisement
ভোগান্তি কমাতে চাহিদাপত্র সত্যায়নে মালয়েশিয়ায় থাকা বাংলাদেশ দূতাবাসের তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ বায়রার।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিসের সভাপতি আবুল বাশার বলেন, ডিমান্ড লেটার সত্যায়িত করার আগে যে নিয়োগ কর্তা রয়েছে তার কর্মসংস্থানের জায়গা রয়েছে কিনা সেটা যেন দেখে। আগে যারা গেছেন তাদের বেতন ঠিকমত দেয় কিনা সেটা জানতে হবে।
Advertisement
এসব কিছুর সমাধানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় হাঁটছে যেন অনেকটা গা বাঁচিয়েই। মন্ত্রীর পরামর্শ, আগে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে, এরপর ব্যবস্থা।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, হাইকমিশনে অভিযোগ না দিয়ে তারা যদি আমার কাছে অথবা মিডিয়াতে অভিযোগ পাঠায়, তা তো ঠিক না।
প্রতি মাসে মালয়েশিয়ায় যাচ্ছে ১০ হাজারের বেশি কর্মী। দেশটিতে যেতে চাহিদাপত্র রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার জনের।