বোরো খেত দেখতে গিয়ে পুলিশি নির্যাতনে গুরুতর আহত কৃষক

SHARE

কিশোরগঞ্জ জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি,বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩ : বোরো ফসলের খেত দেখতে গিয়ে মিথ্যা অভিযোগে পুলিশি হামলা ও নির্যাতনে গুরুতর জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সিরাজ উদ্দিন (৪৫) নামে এক কৃষক। তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

Advertisement

গত রোববার (২৬ মার্চ) রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী মহিষার বেড় এলাকায় অবস্থিত নিজ বোরো ফসলের খেতের সেচ কাজ দেখে বাড়ি ফেরার পথে তিনি অতর্কিত পুলিশি হামলা ও নির্যাতনের শিকার হন। এ সময় উপর্যুপরি বেধড়ক লাঠিপেটায় তার বাম পায়ের উরুর হাড় ভেঙে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ফোলা জখম হয়। গভীর রাতে নির্জন স্থান থেকে তাকে উদ্ধার করে ওই কৃষককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

Advertisement

সিরাজ উদ্দিন জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার পাটুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কুমারী গ্রামের অধিবাসী আশরাফ আলীর ছেলে। আর এ হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক সিরাজ উদ্দিনকে নিয়ে ‘We Want Justice’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্ট ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

Advertisement

অভিযোগে জানা গেছে, রোববার রাতে সিরাজ উদ্দিন পার্শ্ববর্তী মহিষার বেড় এলাকা থেকে প্রতিদিনের মতো বোরো ফসলের খেতের সেচ কাজ দেখে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পাকুন্দিয়া উপজেলার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের দারোগা নূরুল ইসলামের নেতৃত্বে ৫-৬ জনের পুলিশ দল তার গতিরোধ করে। এ সময় তারা তাকে জুয়া খেলা থেকে ফেরার অভিযোগ তুললে তিনি প্রতিবাদ করায় এবং তার পকেটে থাকা টাকাপয়সা নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার সময় বাধা দিলে উপর্যুপরি বেধড়ক লাঠিপেটা করে পুলিশ।

Advertisement

এক পর্যায়ে কৃষক সিরাজ মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে নির্জন স্থানে তাকে ফেলে রেখে কেটে পড়ে পুলিশ। গভীর রাতেও বাড়িতে না ফেরায় তাকে খুঁজে উদ্ধার করে সংকটাপন্ন অবস্থায় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।

বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কৃষক সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী জেসমিন আক্তার জানান, এখনো তার শরীর খুবই খারাপ, তাই চিকিৎসকরা ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছেন।

Advertisement

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানার ওসি সারোয়ার জাহান বলেন, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত পোস্টটি দেখেছেন। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।