ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ময়মনসিংহের ত্রিশাল প্রতিনিধি, সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩ : দীর্ঘদিন ধরে নারীদের সঙ্গে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার দায়ে চাকরি হারিয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুর রকিব খান। এর আগে তাকে পুলিশ অধিদফতরে সংযুক্ত ও সামায়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল।
Advertisement
সোমবার (২৭ মার্চ) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে অফিস কাম-বাসার একটি কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ ও রাতে অবস্থানসহ অসদাচারণের অভিযোগ করা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।
Advertisement
ফুলবাড়ীয়া থানায় ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবরে ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) রুজুকৃত মামলার দায় থেকে অব্যাহতি প্রদান ও বেদখল হওয়া দোকান ঘর উদ্ধারের জন্য এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেছেন তিনি। এরমধ্য দিয়ে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি মোতাবেক ‘অসদাচরণের’ অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
Advertisement
এতে বলা হয়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার কারণ দর্শানোর জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে পক্ষদের দেয়া বক্তব্য এবং প্রাসঙ্গিক সব তথ্যাদি বিবেচনা করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে গুরুদণ্ড আরোপের শঙ্কা থাকায় আনীত অভিযোগগুলো তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিভাগীয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। একই সঙ্গে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
Advertisement
তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা অনুযায়ী অসদাচারণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
পরে অভিযোগের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বিবেচনায় নিয়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে দ্বিতীয়বার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়। তার দেয়া জবাব, তদন্ত প্রতিবেদন, প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি অপরাধের গুরুত্ব ইত্যাদি সার্বিক বিবেচনায় অসদাচরণ এর প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার গুরুদণ্ড দেয়া হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার সময়ের কোনো বকেয়া তিনি পাবেন না।
Advertisement