ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), বরিশাল প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ : নিম্ন আয়ের মানুষের ভরসা এখন মুরগির অবিক্রিত অংশ গিলা-কলিজা, গলা, পাখনা ও পা। আস্ত মুরগি এখন নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। তাই তারা নিরুপায় হয়ে মুরগির এই অবিক্রিত অংশই কেজি হিসেবে কিনে বাড়ি ফিরছেন।
Advertisement
মুরগির দাম বেড়ে যাওয়ায় ১০০ টাকা কেজির গিলা-কলিজাও এখন ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাই গিলা-কলিজা কিনতে গিয়েও অনেককে হিমশিম খেতে দেখা গেছে।
Advertisement
রিকশাচালক জাহিদুল বলেন, প্রায় এক মাসের বেশি সময় হয়েছে ব্রয়লার মুরগিও কিনছি না। কবে দাম কমবে সেই আশায় আছি। কিন্তু এক দেড় মাস ধরে ব্রয়লার মুরগিও ২৫০ টাকার নিচে নামছে না। এদিকে ঘরে ছেলে-মেয়ে শুধু শাকসবজি দিয়ে ভাত খেতে খেতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। তাই নিরুপায় হয়ে মুরগির গিলা-কলিজা কিনতে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, আগে যে গিলা-কলিজার কেজি ১০০ টাকা ছিল সেটাও এখন বেড়ে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা হয়েছে। এই দুর্মূল্যের বাজারে আমাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের এখন টিকে থাকাই যেন মুশকিল হয়ে পড়েছে।
বাংলাবাজারের মুরগি বিক্রেতা আরমান খান জাগো নিউজকে বলেন, কয়েক দিনের ব্যবধানে দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৮০ টাকা বেড়ে ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ব্রয়লার, সোনালী, সাদা কক, লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ২০-৫০ টাকা। বাজারে সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা, ব্রয়লার ২৪০-২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩২০ টাকা, সাদা কক ৩১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে বেচাবিক্রি এখন অনেক কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে মুরগি কিনতে না পেরে গিলা-কলিজা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তাই গিলা-কলিজার চাহিদাও বেড়েছে আগের তুলনায় বহুগুণ। অনেক সময় কাস্টমারকে দিতেও পারছি না।
আরেক মুরগি বিক্রেতা ইলিয়াস হোসেন বলেন, আগে বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় মুরগি নিলে তারা গিলা-কলিজা রেখে যেত। সেগুলো নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছি। এখন রেস্তোরাঁগুলোতেও বেচা বিক্রি কমে গেছে, তারা আগের মতো মাল নিচ্ছে না। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ অনেক সময় গিলা-কলিজাও না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।