ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০২৩ : শেষে আবারো সেই কঠিন বাস্তবতায় নারী। ঘরে-বাইরে সমান তালে ছোটা নারীর চলার পথের ভোগান্তি যেখানে সীমাহীন। গণপরিবহনে নিত্য অস্থির পরিস্থিতিতে পিষ্ট নারীরা জানেন না, আদৌ তাদের এ কষ্টের কথা কেউ ভাবেন কিনা, এর শেষও কখনো হবে কিনা।
Advertisement
দেশে কর্মজীবী নারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএস-এর সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরিপ ২০১৬-১৭ জানায়- সে সময় দেশে ৪ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার কর্মজীবী পুরুষের বিপরীতে কর্মজীবী নারী ছিলো ১ কোটি ৮৬ লাখ ৪৬ হাজার।
Advertisement
এর পরের গত কয়েকটি বছরে এ হার ও সংখ্যা যে আরো অনেক বেড়েছে, তা বলতে হয় না। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে নারীর যাতায়াতের পথটা কেমন? রাজধানীর ব্যস্ততম মোড়গুলোর নিত্যদিনের চিত্র এমন।
Advertisement
লম্বা সময় অপেক্ষা, অনেক কষ্টে বাসে উঠতে পেরে সিট পাওয়ার গ্যারোন্টি নেই, বরং আছে নানা ভোগান্তির শঙ্কা। ২০১৮ সালে ‘নারীর জন্য যৌন হয়রানি ও দুর্ঘটনামুক্ত সড়ক’ শীর্ষক এক জরিপ চালায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, তাতে দেখা যায়- দেশে গণপরিবহনে যাতায়াতকালে ৯৪ শতাংশ নারী কোনো না কোনো সময়ে মৌখিক, শারীরিক বা অন্য কোনোভাবে যৌন হয়রানির শিকার হন। হয়রানির শিকার নারীদের ৮১ শতাংশ কোনো প্রতিবাদও করেন না।
Advertisement
এরপর ‘জনস্থানে নিরাপত্তা ক্যাম্পেইন’ শিরোনামে এক অনলাইন জরিপে দেখা গেলো- বাস, লঞ্চ, ট্রেন, অন্যান্য যানবাহন ও টার্মিনালসহ গণপরিবহনে ৩৬ শতাংশ নারী নিয়মিত যৌন হয়রানির শিকার হন। নারীর রিজার্ভ সিট নিয়ে বিতর্কও নিত্য ঘটনা। বাস বা লেগুনা টেম্পু, গণপরিবহনের ভোগান্তি সর্বত্র। দিন যায়, দিন আসে- কিন্তু অবস্থার উন্নতি আর আসে না। কিন্তু আশায় বাঁচেন তারাও।