একাত্তরের মানবতাবিরোধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ বহাল রাখার প্রতিবাদে সারা দেশে চলছে জামায়াতে ইসলামীর হরতাল। হরতাল ডেকে দলটির নেতাকর্মীদের মাঠে দেখা না গেলেও রাজপথে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
স্বাভাবিক রয়েছে যান চলাচল। হরতালের প্রভাব নেই সাধারণ মানুেষর মধ্য। গণপরিবহন অন্য দিনের মতোই চলছে। জামায়াতের ডাকা হরতালে নাশকতার আশঙ্কায় রাজধানীতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, প্রেস ক্লাব, পুরানা পল্টন ও মতিঝিল, মিরপুর, কাজীপাড়া, শেওড়া পাড়া, কালশী, ফার্মগেট, এলাকায় দেখা যায়, যে কোনো ধরনের নাশকতা মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া, হরতালের সমর্থনে রাজধানীতে কোথাও মিছিল অথবা পিকেটিংয়ের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার সন্ধ্যায় হরতালের সমর্থনে দেশের বিভিন্নস্থানে ঝটিকা মিছিলের দাবি করেছে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা। তবে, এ হরতাল প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্নস্থানে হরতাল বিরোধী মিছিল করেছে ছাত্রলীগ ও গণজাগরণ মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠন।
আগের হরতালগুলোতে দূরপাল্লার বাস চলাচল না করলেও আজকের হরতালে গাবতলী, মহাখালী এবং সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে দূরপাল্লার বাস। তবে যাত্রী কিছুটা কম।
বুধবার সকালে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান।