ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ : বাংলাদেশকে আগামী দিনের অর্থনীতির সবচেয়ে সম্ভাবনার দেশ হিসাবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, উন্নয়নের এই ধারা বজায় থাকলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশ শুধু থাইল্যান্ড ভিয়েতনাম নয়, যুক্তরাজ্য-জার্মানির প্রতিষ্ঠিত বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এজন্য প্রতি বছর পাঁচ শতাংশ বেশি হারে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে হবে।
Advertisement
শনিবার (১১ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ বিজনেস সামিট- ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
Advertisement
দেশে বিদেশি বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। সেটি আরও সংস্কার ও ব্যবসাবান্ধব করা হবে। লাল ফিতার দৌরাত্ম্য সরিয়ে দেওয়া হবে।
আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ কেমন হবে তার ধারনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানে বাংলাদেশ হতে পারে ৩০০ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্র বিন্দু। বা যে ১৭ কোটি মানুষের দেশের ১১ কোটিই কর্মক্ষম তাদের কাজে লাগালে পরে অর্থনীতি মানুষকে উন্নত জীবন দেবে।
Advertisement
পর্দায় যখন স্মার্ট বাংলাদেশের এমন কাল্পনিক চিত্র, তখন উচ্চাকাঙ্ক্ষা বলে মনে হলেও নিজের লক্ষ্য কেমন করে ছোঁয়া সম্ভব তার প্রতিটি ধাপ বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
এসময় বেসরকারি খাতের কৃতিত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালে তৈরি পোষাক খাতের আয় ৬০ বিলিয়ন ডলার। আছে রেমিট্যান্স, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন- মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, টানেল, যোগাযোগ অবকাঠামোর বদলে যাওয়া চেহারা। এই পথের শেষে পৌঁছাতে যারা কাজ করছেন তাদের হতাশ না হয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল খাত আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করবে। প্রথাগত খাতগুলোর বাইরে এই খাতে উন্নয়নের অবকাঠামোও প্রস্তুত। আর এই প্রস্তুতির প্রতিটি ধাপে আছে লক্ষ্য রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন।
শেখ হাসিনা বলেন, এক সময় বাংলাদেশ বন্যা-খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ হিসেবে পরিচিত পেত। এখন কিন্তু সে অবস্থা নেই। এখন বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। গত ১৪ বছরে আমরা বাংলাদেশের ব্যাপক পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি করোনাকালেও বাংলাদেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা যে পারি, সেটা প্রমাণ করেছি পদ্মা সেতু নিজ অর্থায়নে করে।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।