ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),নরসিংদী প্রতিনিধি,শনিবার, ১১ মার্চ ২০২৩ : নরসিংদীর শিবপুরে সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে ঋণ দেয়ার কথা বলে গ্রাহকদের জামানতের কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে পিডিবি নামে একটি ভুয়া এনজিও। উপজেলার বাঘাব, দুলালপুর, মাছিমপুরসহ বেশকিছু ইউনিয়নের অন্তত ৫ শত কৃষক, উদ্যোক্তা এবং বিদেশ গমনে ইচ্ছুকরা এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
Advertisement
শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের বিরাজনগর গ্রামের কৃষক বজলু মিয়া জানান, কৃষি কাজের সম্প্রসারণের লক্ষে চলতি মাসের ১৫ তারিখ পিডিবি নামে এক এনজিওর কাজে নগদ ১০ হাজার টাকা জামানত রাখেন নামমাত্র সুদে ১ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার আশায়। গত ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে ঋণের টাকা বুঝিয়ে দেয়ার কথা থাকলেও তা না করে বজলু মিয়ার ১০ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানটি।
Advertisement
বজলু মিয়ার মতো এমন ভুক্তভোগী রয়েছে শিবপুর উপজেলার কয়েকশত। ভুক্তভোগীরা জানান, চলতি মাসের শুরুর দিকে শিবপুর পৌর শহরের বানিয়াদি এলাকার একটি বাসার নিচতলা ভাড়া নিয়ে এনজিও অফিস সাজায় দুই ব্যক্তি। সেখান থেকেই শিবপুরের বাঘাব, দুলালপুর, মাছিমপুর, চক্রধাসহ বেশ কিছু ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামে প্রচারণা চালাতে থাকে, কৃষক ও উদ্যোক্তাদের নামমাত্র সুদে দেয়া হবে ঋণ। ঋণ পেতে হলে, প্রতি লাখে জামানত রাখতে হবে ১০ হাজার টাকা, বছরে সুদ মাত্র ১০ শতাংশ। এই ফাঁদে পা দেয় উদ্যোক্তা, কৃষক ও বিদেশগামী মানুষেরা। কেউ জামানত রাখে ১০ হাজার, কেউ ২০ হাজার, কেউবা ৩০ হাজার টাকা। সবশেষ জামানত রশিদ ফেলে, ১৯ ফেব্রুয়ারির আগেই ভাড়া বাসার অস্থায়ী অফিসে তালা ঝুলিয়ে লাপাত্তা প্রতিষ্ঠানটি। রশিদে থাকা মুঠোফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়,নেই তাদের সাইনবোর্ডটিও।
Advertisement
ভাড়া বাসার মালিক জেলার বাইরে থাকায় এটির দেখভালের দায়িত্বে থাকা মনিরুল হক জানেন না কিছুই।
পিডিবি নামে শিবপুরে নিবন্ধকৃত কোনো এনজিও কিংবা ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান নেই বলে জানায় শিবপুর উপজেলা সমাজসেবা মাহমুদুর রহমান। আর আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিবপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. জলিল হোসাইন।
Advertisement
এদিকে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগিরা। আইনত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ তালুকদার।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বাঘাব ও দুলালপুরসহ বেশকিছু ইউনিয়নের প্রায় ৫ শত গ্রামবাসীর কাছ থেকে যেই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র তার পরিমাণ অন্তত কোটি টাকা এমনটাই দাবী এলাকাবাসীর।