ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),স্বাস্থ্য প্রতিনিধি,সোমবার, ০৬ মার্চ ২০২৩ : লিউকোরিয়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়া নারীদের জন্য। স্রাব স্বচ্ছ তরল পদার্থ, যা জীবাণু সংক্রমণের বাধা দেয়।
স্বাভাবিক লিকোরিয়ার জন্য আলাদা করে কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই।
স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যেক নারীর ডিম্বনালি জরায়ু ও যোনিপথ থেকে সামান্য কিছু লিউকোরিয়া বের হয়। অতিরিক্ত হলে তখন স্বাভাবিক জীবনটা ব্যাহত হয়।
কাপড়ে অনেক সময় বাদামি বর্ণের দাগ সৃষ্টি করে দৈনন্দিন জীবনে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।
Advertisement
কেন হয়
একজন নারীর বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেনোপজ পর্যন্ত জীবনে হরমোনের জন্য লিউকোরিয়া সমস্যা যেকোনো সময় হতে পারে।
কোনো জটিলতা থাকে ছাড়াই এর সমাধান করা যায় যদি চুলকানি না থাকে, যদি ব্যথা না থাকে তা হলে কারণগুলোর মধ্যে আছে অযৌন এবং যৌন সংক্রমণ।
অসংক্রমিত মৃত লিকোরিয়া একটি পাতলা স্বচ্ছ জলের মতো স্রাব হয়। সংক্রমণ হলে এর পরিমাণ রং এবং বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ থাকতে পারে।
রঙ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে অথবা সবুজ রঙের দুর্গন্ধ থাকতে পারে চুলকানি প্রসাবে জ্বালাব্যথা এসব উপসর্গ থাকতে পারে।
Advertisement
প্রতিকার
*হাইজিন মানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকাটা সবচেয়ে বড় প্রতিকারের উপায়।
*বেশি করে পানি খেতে হবে
*প্রতিবার প্রস্রাবের পরে জায়গাটা ভালোমতো ধুয়ে নিতে হবে
*শুকনা রাখতে হবে
*ভিজা রাখা যাবে না
*ছত্রাক সংক্রমণ এ লিউকোরিয়া তৈরি করে। যেমন ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস। ১৫ থেকে ৪৫ বয়সি নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটে।
ক্যান্ডিডিয়াসিস
ছত্রাকের সংক্রমণ এর জন্য হয়
ট্রাইকোমোনিয়াসিস
বিভিন্ন ধরনের কারণেই এ সংক্রমণ হতে পারে
সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য জীবনধারা পরিবর্তন আনতে হবে
সুতি কাপড় পড়তে হবে। সাবান দিয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। পুষ্টিকর খাবার সঙ্গে একটু হাঁটা। হালকা ব্যায়াম করতে হবে।
লেখক: সহকারী পরিচালক, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল।
Advertisement