ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম(টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি, শুক্রবার, ০৩ মার্চ ২০২৩ : রাজধানীর কেরানীগঞ্জ মডেল থানার বামনশুর নীমতলা এলাকায় প্রান্ত নামে এক ব্যক্তিকে মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এতে অভিযুক্ত তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন- এস আই সামিউল, কনেষ্টবল সোহেল রানা ও কাজী আলমগীল।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আরটিভির অনুষন্ধানে এ ঘটনার সত্যতা মিললে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) তাদের প্রত্যাহার করা হয়।
Advertisement
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মনিকা আরটিভিকে বলেন, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে বামনশুর নীমতল এলাকা থেকে সাদা পোশাকের কিছু লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে আামার স্বামীকে তুলে নিয়ে যোয়। পরে আমাকে মুঠোফোনে জানান তারা আমার স্বামী মাদকসহ আটক করেছেন। তাকে মামলা দিয়ে হাজতে পাঠানো হবে। মামলা বন্ধ করতে হলে এখনই ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসতে হবে। দেরি হলে চালান করে দেয়া হবে।
Advertisement
পরে আমি আমার স্বর্ণালংকার বিক্রি করে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে গেলে, তারা আমার সঙ্গে গালিগালাজ করে বলেন, ৫০ হাজার টাকার কম হবে না। উপায় না পেরে তখন আত্মীয় স্বজনদের থেকে টাকা সংগ্রহ করে, ৫০ হাজার টাকা দিয়ে রাত ১২টার দিকে রুহিতপুর এলাকা থেকে আমার স্বামীকে নিয়ে বাড়ি যায়।
ভুক্তভোগীর ছোট বোন নাদিয়ে বলেন, এস আই সামিউল ও পুলিশের সোর্স শুভ আমাদের বাড়ি এসে এখনো মামলার ভয় দেখাচ্ছে। তারা বলছেন, তোরা যদি এ বিষয়ে কারো কাছে জানাস তাহলে সারাজীবনের জন্য জেলে ভরে রাখবো। আমার ভাই প্রান্তকে ছেড়ে দেওয়ার সময় পুলিশের লোকেরা মুঠোফোনে মিথ্যা জবানবন্ধিও রেখেছেন। এজন্য আমরা এখনো ভয়ে আছি।
Advertisement
এস আই সামিউলের নিকটে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি আরটিভির প্রতিবেদক ও ক্যামেরাম্যানের উপরে চড়াও হন। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট জানালে, তাদের কাছে তিনি বিষয়টি শিকার করেন।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি মামুনুর রশিদ বলেন, এস আই সামিউল তার অপরাধ শিকার করেছেন। তাকেসহ দুই কনেষ্টবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভাগীর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কোনো সদস্য আপরাধে জরালে বাহিনী তা মেনে নেবে না। ভুক্তভোগীরা ন্যায় বিচার পাবেন।