ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি).ঢাকা প্রতিনিধি, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে অবৈধ পথে অস্ত্র আনছে একটি চক্র। পরে তারা ভুয়া লাইসেন্স তৈরির মাধ্যমে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করে। এই চক্রের মূল হোতা মো. পলাশ শেখসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
Advertisement
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ব্যবসায়ী মো. পলাশ শেখ, মো. মনোয়ার হোসেন, রশিদুল ইসলাম, নাজীম মোল্লা মারুফ হোসেন ও মো. নাইমুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ওয়ান শুটার গান, সাতটি একনালা বন্দুক, দুটি পিস্তলের ম্যাগজিন, আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি, ওয়ান শুটারের গুলি দুই রাউন্ড, একনলা বন্দুকের গুলি ৬৭ রাউন্ড, ০.২২ বোর রাইফেলের গুলি ৪০ রাউন্ড, ১১টি জাল লাইসেন্স, ১৯টি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তার নামীয় সিলসহ অন্যান্য সামগ্রী।
Advertisement
চক্রটির মূল হোতা পলাশ। এ চক্রের সদস্য সংখ্যা চার-পাঁচজন। তাদের মূল কাজ ছিল পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র সংগ্রহ এবং ভুয়া লাইসেন্স তৈরি করে বিভিন্ন বেসরকারি সিকিউরিটি কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে অবৈধ অস্ত্র বিক্রি করা।
কমান্ডার মঈন আরও জানান, চাকরির জন্য জনপ্রতি ২-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে চক্রটি। অবৈধ অস্ত্র ও ভুয়া লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিকিরিউটি গার্ড হিসেবে চাকরি করে। এছাড়াও চক্রটি বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছে চড়া দামে জাল লাইসেন্স বিক্রি করে।
মো. পলাশ শেখ ২০০৪ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে। ২০১৩ সালে চাকরির জন্য ঢাকায় আসে এবং একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে চাকরি শুরু করে। চাকরিরত অবস্থায় ২০১৫ সালে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ভুয়া লাইসেন্সকৃত একটি অবৈধ বন্দুক কিনে একটি বেসরকারি ব্যাংকে অধিক বেতনে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি শুরু করে। পরে সে নিজেই অবৈধ পথে অস্ত্র চোরাচালান ও বিক্রি শুরু করে। ৪-৫ জনের একটি দলও তৈরি করে সে।
Advertisement
মনোয়ার স্থানীয় বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সে ২০১৪ সালে ঢাকায় এসে নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে চাকরি শুরু করে। চাকরির সুবাদে পলাশের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। পলাশের সহযোগিতায় সে ২ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি ভুয়া লাইসেন্সকৃত অবৈধ একনলা বন্দুক সংগ্রহ করে বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অধিক বেতনে চাকরি শুরু করে। পরে পলাশ তাকে আরও বেশি অর্থের লোভ দেখিয়ে অবৈধ অস্ত্র কেনাবেচার জগতে প্রবেশ করায়।
(মো. পলাশ শেখ)