চট্টগ্রামের চাক্তাই খাল, দেখে বোঝার উপায় নেই, এই খালে একসময় স্বচ্ছ পানির প্রবাহ ছিলে। শিশু কিশোররা হই-হুল্লোড়ে আর সাঁতরে বেড়াতো খালের পানিতে। কিন্তু এখন খালের অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। শুধু চাক্তাই নয়, চট্টগ্রামের বেশির ভাগ খালের অবস্থাই এখন এমন। দখল আর দূষণে হারিয়ে গেছে অস্তিত্ব।
একসময়ে শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খালগুলো ব্যাপক ভূমিকা রাখতো। বর্তমানে উভয় পাড়ের মানুষ খালগুলোকে আবর্জনার ফেলার স্থান হিসেবেই ব্যবহার করে। ফলে জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় নগরী। জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তিও মিলছে না।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, ময়লাগুলো ডাস্টবিনে না ফেলে ভাড়াটিয়া খালে ফেলছে, এ কারণে খাল জ্যাম হয়ে পানিগুলো যাচ্ছে না ঠিকমতো। এ কারণে পানির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যাতায়াতেও অসুবিধা হচ্ছে। দ্রুত পদক্ষেপ নিলে মানুষের কষ্ট কমে যেত।
নগর বিশ্লেষকরা বলছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয় না থাকলে এই ভোগান্তি থেকে নগরবাসীর মুক্তি নেই।
Advertisement
স্থপতি ও নগর বিশ্লেষক আশিক ইমরানের দাবি, প্রকল্প চলমান আছে। কিন্তু সেগুলোতে সিটি করপোরেশন তাদের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করছে না। এর ফলে ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে খালগুলো এ অবস্থায় পরিণত হচ্ছে। সব কিছু মিলিয়ে একটা অস্বাস্থ্যকর অবস্থা।
তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প শেষ হলে সুফল মিলবে।
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বিগ্রেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ আলী জানান, এ ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা না হয়, তাহলে শহরের পানি খালে আসতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে শহরে সাময়িকভাবে জলাবদ্ধতা হতে পারে। বর্ষা আসার আগেই আমরা খালগুলোকে পরিষ্কার করে দেব।
Advertisement
নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমানে ১০ হাজার ৯২১ কোটি টাকার চারটি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।