ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : পুরো ফ্লাইটে অঝোরে কেঁদেছেন কুমার বিশ্বজিৎ ও নাইমা সুলতানা। কোন কথা বলেননি। বরং একমাত্র ছেলে নিবিড় কুমারের জন্য আশীর্বাদ চেয়েছেন। এ সময় ফ্লাইটে থাকা বাংলাদেশি যাত্রীদের মন ভারী হয়ে উঠে। বুধবার টরেন্টোর স্থানীয় সময় সকালে পিয়ারসন এয়ারপোর্টে কুমার বিশ্বজিৎ দম্পতি নেমে সোজা ডাউন টাউনের সেন্ট মাইকেল হসপিটালে চলে যান। এ সময় হাসপাতালটিতে এক হুদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
Advertisement
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কুমার বিশ্বজিৎ হাসপাতালে এসে ভাই অভিজিৎ দেসহ পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন মিডিয়াকর্মীকে কাছে পান। এ সময় কুমার বিশ্বজিৎ ডুকরে কাঁদতে থাকেন। তার কান্না দেখে উপস্থিত স্বজন এবং অন্যরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পর কুমার বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রীকে ছেলের কাছে নিয়ে যান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা। কানাডার মেইনস্ট্রিম মিডিয়া সিপি ২৪ এবং কুমার বিশ্বজিতের কয়েকজন ঘনিষ্ঠজন জানান, কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের মাথার একটি বড় অংশ এবং চোখের একটি বড় অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Advertisement
তাঁর শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে গেছে। তাঁর বুকের পাজরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শরীরে আর কোথায় কোথায় আঘাত পেয়েছেন তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এর আগে গত সোমবার টরেন্টোর স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। বাংলাদেশি ছাত্রদের মৃত্যুর ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Advertisement
টরেন্টো পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টরেন্টো নগরীর অদূরে মিসিসাগা এলাকায় ৪২৭ হাইওয়ে ও ডানডাস ইন্টারসেকশনের সন্নিকটে সোমবার রাতে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আরিয়ান আলম দীপ্ত, শাহরিয়ার খান ও অ্যাঞ্জেলা বাড়ৈ নামের ৩ বাংলাদেশি ছাত্র নিহত হন। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাড়ির আরোহী দুইজন ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং তৃতীয় জন হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত নিবিড় কুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা ৪ জনই আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট হিসেবে টরন্টোতে বসবাস করতেন।