নীলফামারী জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুস সাদিকের ঘুষ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সাদিককে জেএম শাখার সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে লাইব্রেরি শাখায় সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমানকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) তাফসীরুল কোরআন মাহফিলের অনুমতির জন্য দাখিলকৃত আবেদনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল মুন্সিখানা শাখার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আব্দুস সাদিক অর্থ দাবি করা এবং টাকা নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমানকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমাকে এ ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিধিমোতাবেক তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে জেলা প্রশাসক বরারর প্রতিবেদন জমা দেবো।’
বিজ্ঞাপন
জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘তাকে জেএম শাখা থেকে সরিয়ে লাইব্রেরি শাখায় দেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টির তদন্ত চলছে।’
জলঢাকা উপজেলার দক্ষিণ দেশীবাই রাজারহাট কাবাদি রহমানিয়া নুরানি ও হাফিজিয়া মাদরাসার হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ী প্রদান উপলক্ষে ঐতিহাসিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিল অনুষ্ঠানের অনুমতির কাগজের জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের আবেদন করেন মাদ্রাসার সভাপতি মো. ওয়াহিদুর রহমান। তবে কয়েকদিন ধরে অনুমতির কাগজটির জন্য অফিস সহকারী আব্দুস সাদিক তাকে হয়রানিসহ অর্থ দাবি করেন।
বিজ্ঞাপন
পরে স্থানীয় বাসিন্দা ও সাংবাদিক আব্দুল মালেক কাগজটি আনতে গেলে তার কাছেও অর্থ দাবি করেন সাদিক। টাকা নেওয়ার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ভিডিও করে রাখেন সাংবাদিক আব্দুল মালেক। পরে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে ঘটনাটি নিয়ে সম্প্রতি পুরো জেলায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়।