(গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদার )
ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি), নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার প্রতিনিধি,সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : প্রকাশ্যে তিন শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে চুল কেটে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদার।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার রামচন্দ্রদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
(প্রকাশ্যে তিন শিশু শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে চুল কেটে দিয়েছেন)
নিজের মালিকানাধীন সাইজিং মিলের মেশিনের নাট-বল্টু চুরির অভিযোগে ওই শিক্ষার্থীদের হাত বেঁধে পেটানোর পর স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে শত শত মানুষের সামনেই চুল কেটে দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
নির্যাতনের শিকার ওই তিন শিক্ষার্থী হলো, গোপালদী মাদরাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র বায়েজিদ (১০), হেফজ বিভাগের ছাত্র সিয়াম (৮)
ও আফরিদ (৮)।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর মেয়র হালিম শিকদারের লোকজন নির্যাতনের শিকার শিশুদের পরিবারের ওপর থানায় অভিযোগ না করতে হুমকি দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা সাংবাদিকদের জানায়, রামচন্দ্রদী গ্রামে গোপালদী পৌর মেয়র হালিম সিকদারের মালিকাধীন সিকদার সাইজিংয়ের সামনে পড়ে থাকা কয়েকটি নাট-বল্টু নিয়ে খেলছিল তিন শিক্ষার্থী। বিষয়টি মিলের লোকজন মেয়রকে জানায়। পরে ওই শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে তুলে মিলের ভেতরে নিয়ে হাত বেঁধে মেয়র হালিম শিকদারের সামনে অমানুষিক নির্যাতন চালায়। এ সময় শিশুদের স্বজনরা মিনতি করলেও মন গলেনি মেয়রের। পরে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তিন শিশুকে রামচন্দ্রদী বাসস্ট্যান্ডে নিয়ে শত শত মানুষের সামনে মাথার চুল কেটে ভয় দেখিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
নির্যাতনে শিকার শিশু বায়েজিদের বাবা জাহাঙ্গীর বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আমার ছেলেসহ তিন শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।
বিজ্ঞাপন
গোপালদী পৌরসভার মেয়র এম এ হালিম সিকদার গণমাধ্যমকে বলেন, এরা পেশাদার চোর। আগেও তারা চুরি করেছে। তাই তাদের চুল কেটে দিয়েছি।
শিশুদের স্বজনদের না ডেকে এমন নির্যাতন করার এখতিয়ার আছে কি না? সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মেয়র উল্টো জানতে চান গণমাধ্যমের এমন প্রশ্ন করার এখতিয়ার আছে কি না?
আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।