বিএনপি সরকার পতনের আন্দোলনের খেলায় পরাজিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপির গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন কোনদিন পূরণ হবে না। পাশাপাশি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আসারও আহবান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।
Advertisement
এবার আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ এক সময়ের রক্তাক্ত, অশান্ত এলাকা কামরাঙ্গীরচরে। বিএনপি-জামায়াত আর তাদের জোটসঙ্গীদের ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির বিপরীতে স্থানীয় হাসপাতাল মাঠের সমাবেশে জড়ো হন ক্ষমতাসীন দলটির নেতাকর্মীরা।
শনিবার বিকেলে কামরাঙ্গীরচরের এই শান্তি সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, দেশে যখন শান্তিতে রয়েছে মানুষ তখন অস্থিতিশীল করতে মাঠে নেমেছে বিএনপি। গণতন্ত্রকে হত্যা করে এখন গণতন্ত্রের জন্য মাঠে নেমেছে তারা।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আন্দোলনের রঙিন খোয়াব দেখতে পারেন। কিন্তু এ স্বপ্ন কোনোদিনও পূর্ণ হবে না। বিএনপি গণঅভ্যুত্থানের কথা বলে, অথচ গণআন্দোলনই করতে পারল না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খেলা তো হবে, কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী কোথায়? প্রতিপক্ষ তো নরম হয়ে গেছে। আন্দোলনের খেলায় তো পরাজিত হয়ে গেছে। এখন বাকি আছে নির্বাচন। নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। দুর্বল প্রতিপক্ষ চাই না, শক্তিশালী প্রতিপক্ষ চাই। নির্বাচন ফেয়ার হবে। আসুন নির্বাচন করি।
বিএনপিকে পাত্তা দেয়ার কিছু নাই মন্তব্য করে তিনি বলেন, কোন ধরনের পাল্টাপাল্টি নয়, কিন্তু নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিদিনই আমাদের কোনো না কোনো কর্মসূচি থাকবে। তাদের পতনযাত্রা শুরু হয়েছে। বিএনপির ভুয়া দাবির সঙ্গে জনগণ নেই। তাদের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীও কমে গেছে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলের দাম বৃদ্ধি, ইউক্রেন যুদ্ধ, পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশি দামে পণ্য কিনে কম দামে সরবরাহ করতে হয়। এ অবস্থায় আপনারা কিছুটা কষ্টে আছেন। নেত্রী ভালো করেই জানেন। শেখ হাসিনা দিনরাত কষ্ট করে যাচ্ছেন, যাতে আপনাদের এ কষ্ট কেটে যায়।
ওয়ান-ইলেভেন প্রসঙ্গ স্মরণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম দাঁড়িয়েছিলেন কোর্টে, দুঃসময়ে। তখন অনেককেই পাওয়া যায়নি। উনার জনপ্রিয়তা আছে। এমন লোককে নির্বাচিত করলে দুঃসময়ে অন্ধকারে আলো পাবেন।
Advertisement
দল করলে দলের শৃংখলা মানতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মানুষ অসন্তোষ হয়, এমন কাজ করলে দলের, সরকারের ক্ষতি হয়। যারা ভূমি দখল, মাদক ব্যবসা, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে সখ্যতা রাখে, তাদের আওয়ামী লীগ করার কোনো অধিকার নেই। খারাপ লোক এনে পার্টি করানোর দরকার নেই। ভালো লোক, ত্যাগীদের দিয়ে কমিটি করুন।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মহিউদ্দিন জালাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রমুখ। শান্তি সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।