ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বিনোদন প্রতিনিধি,বৃহস্পতিবার, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : প্রায় চার বছর সেন্সর বোর্ডে আটকে থাকার পর চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শুনানি শেষে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি দেন আপিল বোর্ডের সদস্যরা। শর্ত সাপেক্ষে সিনেমাটি মুক্তির অনুমতি মিললেও এখন পর্যন্ত সেন্সর ছাড়পত্র হাতে পাননি নির্মাতা।
Advertisement
এদিকে ফারুকী যে ঘটনার অনুপ্রেরণায় ‘শনিবার বিকেল’ বানিয়েছেন, ঠিক সেই ঘটনারই চিত্রায়ণ করেছেন একজন বিদেশি চলচ্চিত্রকার। আর একদিন পরই (৩ ফেব্রুয়ারি) ‘ফারাজ’ নামের সেই সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। অথচ ‘শনিবার বিকেল’ এখনও দেশের মানুষকে দেখাতে পারছেন না ফারুকী।
তিনি বরাবরই দাবি করে এসেছেন, ‘ফারাজ’ মুক্তির আগেই ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তি দিতে হবে। সবশেষ সেন্সর বোর্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফারুকী বলেন, ‘দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি। ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে। ফারাজের সঙ্গে একই দিন বা এক ঘণ্টা আগে হলেও। সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসিমুখে সিনেমাটা রিলিজ করি।
বিষয়টি নিয়ে আরটিভি নিউজের সঙ্গে আলাপকালে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা বলেন, ‘আরও ১০ দিন আগে আপিল বোর্ড থেকে আমাদের শনিবার বিকেল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। তবে সেন্সর সার্টিফিকেট পাইনি। সেন্সর সার্টিফিকেট পেলে সঙ্গে সঙ্গেই আমরা সিনেমাটি মুক্তি দেব, এমন প্রস্তুতিই নিয়ে আছি।’
তিনি যোগ করেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে সেন্সর বোর্ডকে বলতে চাই, প্লিজ আমাদের সেন্সর সার্টিফিকেটটা তাড়াতাড়ি দিয়ে দেওয়া উচিত। কারণ, দেশের বাইরে আমাদের ভাবমূর্তিটা খুব একটা ভালো জায়গায় যাচ্ছে না। সবাই সমালোচনা করছে, খারাপই লাগছে। আমাদের দেশের কনটেন্ট নিয়ে বিদেশের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে! আমরা কিছু করতে পারছি না। আমাদের আটকে রাখা হয়েছে, এটা দৃষ্টিকটু। সেন্সর বোর্ড, প্লিজ আমাদের সিনেমাটি ছেড়ে দেন। আমরা যাতে এটা দেশবাসীকে দেখাতে পারি।’
Advertisement
প্রসঙ্গত, ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমায় বিভিন্ন দেশের শিল্পী অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে আছেন বাংলাদেশের জাহিদ হাসান, নুসরাত ইমরোজ তিশা, মামুনুর রশীদ, ইরেশ যাকের, ইন্তেখাব দিনার, গাউসুল আলম শাওন, নাদের চৌধুরী, ভারতের পরমব্রত চ্যাটার্জি, ফিলিস্তিনের ইয়াদ হুরানিসহ আরও অনেকে।