ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ : রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় বাসে নারীসহ তিনজন অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছেন। এরা হলেন নাজমা আক্তার (৩৬), আরিফুল ইসলাম (২৫) ও রেজাউল করিম (৩২)।
বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বঙ্গবাজার ও পল্টন এলাকা থেকে তাদের উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নাজমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মো. নিয়াজ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুফিয়া কামাল হল ও সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের সামনের রাস্তায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান তিনি।
Advertisement
হাসপাতালে স্টোমাক ওয়াশ করানোর পর কিছুটা সুস্থ হলে নাজমা নিজেই জানান, তার বাসা নারায়ণগঞ্জে। গত এক বছর দুবাইতে থাকার পর আজ সকালে ঢাকায় এসেছেন। বিমানবন্দরে নামার পর সেখানে এক লোকের সঙ্গে পরিচয় হয়। সেই লোক তাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণামূলক কথা বলে সখ্যতা গড়ে তোলে। একপর্যায়ে তারা সেখান থেকে একটি বাসে করে শাহবাগ এলাকায় আসেন। শাহবাগ থেকে রিকশাযোগে গুলিস্তান যাওয়ার পথে ওই লোক তাকে জুস খেতে দেয়। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। তার কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও পাসপোর্টসহ ব্যাগ নিয়ে গেছে।
এদিকে আরিফুল ইসলাম জানান, গাজীপুর কোনাবাড়িতে থাকি। সেখান থেকে একটি বাসে করে ঢাকায় এসেছিলেন। বাসের ভিতর পাশের সিটে বসা এক ব্যক্তি তাকে জুস খেতে দিয়েছিল। এরপর আর কিছু মনে নেই তার। তার কাছ থেকে এক হাজার টাকা খোয়া গেছে। বাসের স্টাফরা তাকে বঙ্গমার্কেটের পাশে রাস্তায় নামিয়ে রেখে যায়। পরে সারোয়ার হোসেন নামে এক পথচারী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
অপরদিকে রেজাউল করিম উত্তরা পাওয়ারকন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অটোমেশন লিমিটেডের সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার। বেলা সোয়া ৩টার দিকে পল্টন মোড় থেকে সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
Advertisement
সহকর্মী মো. নুরুজ্জামান জানান, তাদের অফিস উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরে। সকালে সদরঘাট গিয়ে জেনেরেটরের যন্ত্রাংশ কেনার কথা ছিল তার। দুপুরে মুঠোফোনের মাধ্যমে খবর পান, ভিক্টর পরিবহনের বাসের মধ্যে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন নুরুজ্জামান। পরে পল্টন মোড় থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা খোয়া গেছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তিনজনকেই স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়েছে। মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।