ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),যশোরের মনিরামপুর প্রতিনিধি , সোমবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ : যশোরের মনিরামপুরের প্রেমের সম্পর্কের জেরে পারভেজ হাসান (১৯) নামে এক তরুণকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকার পরিবারের বিরুদ্ধে। নির্যাতনকালে ওই তরুণের মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয় বলে স্বজনদের অভিযোগ উঠেছে।
Advertisement
রোবাবার (২৯ জানুয়ারি) খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, দরিদ্র হওয়ার কারণে পারভেজ নানাবাড়ি মণিরামপুরের বাগডোব গ্রামে থেকে পড়াশোনা করতো। নানা বাড়ি থাকার সুবাদে প্রতিবেশী ডা. ইমরান হোসেনের মেয়ের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে সে সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি প্রেমিকার পরিবার। প্রেমিকার বাবাসহ স্বজনরা পারভেজের ওপর নির্যাতন চালিয়ে মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পারভেজের নানা সিদ্দিক ব্যাপারির অভিযোগ, গত ২৩ জানুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে স্থানীয় রোহিতা বাজারের উদ্দেশ্যে বের হন পারভেজ। এ সময় ডা. ইমরান ও তার স্বজনরা পারভেজকে টেনে-হিঁচড়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে গাছের সঙ্গে বেঁধে মিজানুর রহমানসহ প্রেমিকার স্বজনরা পারভেজের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালান। খবর পেয়ে সন্ধ্যায় মিজানুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পারভেজকে পান স্বজনরা। একপর্যায়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে নেয়া হয়। একটু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর গত ২৭ জানুয়ারি ফের ডা. ইমরানসহ কয়েকজন মিলে পারভেজকে বেধড়ক মারধর করে মুখে কীটনাশক ঢেলে দেন।
Advertisement
এরপর তাকে রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের পেছনে মারধর করে পাশের একটি ডোবায় ফেলে দেয়ার চেষ্টা করে। পারভেজ সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পারভেজকে খুলনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পারভেজ মারা যান।
এ ঘটনায় পারভেজের নানা সিদ্দিক ব্যাপারি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আমি এ মারধরের সঙ্গে জড়িত নই। মনিরামপুর থানার
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান বলেন, জড়িত থাকার অভিযোগে মেয়ের বাবাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।