রাজধানীতে উন্নয়ন যাতনা যেন শেষ হয় না। সাত বছরের ভোগান্তির পর মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে মিরপুরবাসী। কিন্তু এখন আবার নতুন করে দিতে হবে মাশুল। কারণ ফুটপাত না রেখেই নির্মাণ করা হয়েছে স্টেশন। তাই এখন ভাঙা হবে শেওড়াপাড়া-কাজীপাড়া-পল্লবীর ভবন আর দোকানপাটের একাংশ।
Advertisement
বর্তমানে ঢাকার বুকে সদর্পে চলছে মেট্রোরেল। তবে শুরুতে সীমিত পরিসরের এ যাত্রা যখন চলবে পুরোদমে তখন কী হবে? কারণ মিরপুর ১০, পল্লবী, শেওড়াপাড়া-কাজীপাড়া স্টেশনের মূল কাঠামোই ফুটপাতের ওপর। ফলে প্রশ্ন উঠেছে কোথায় হাটবেন পথচারীরা? জায়গার অভাবে শেওড়াপাড়া স্টেশনের একপাশের সিড়িই এখনো বসানো যায়নি। এই বাস্তবতায় এ ৪ স্টেশন লাগোয়া ভবনগুলোর কিছু অংশ অধিগ্রহণ করবে সরকার।
একজন ব্যবসায়ী জানান, স্টেশনের কারণে প্রায় ৬ বছর দোকান খুলতে পারিনি। এখন আবার শুনছি আমার দোকান নাকি ভাঙবে। আমার সংসার কিভাবে চলবে? আমার জীবনে কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না।
Advertisement
এ এলাকার প্রায় ৪০ শতাংশ জায়গা অধিগ্রহণ হবে শিগগিরই। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেওড়াপাড়ায় সাড়ে ১৮ শতাংশ, কাজীপাড়ায় ১৬ , পল্লবীতে ২ ও মিরপুর ১০ এ আড়াই শতাংশের মতো। এজন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হবে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক জানান, আমরা ঐ জায়গার মালিকদের বলেছি আপনারা সরে যান। তারা সরে গেলে আমাদের মাত্র ১৫ দিনের কাজ। এখন তো তারা সরছে না। আমাদের অপারেশনে নামতে হবে।
ডিএমটিসিএলের এই ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও জানান, মার্চের মধ্যে প্রশস্ত ফুটপাত হবে মিরপুরের এই রাস্তায়। ২০১২ সালে ২২ হাজার কোটি টাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের খরচ বেড়ে এখন হয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।