ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ : বেহেশতের লোভ দেখিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। প্রশাসনের সামনেই ধর্মের লেবাসে চলেছে এই প্রতারণা। এই মানুষগুলোর জীবনের প্রতি পরতে বিষাদের ছায়াই শুধু নয়। দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
যাদের জন্য তারা নিং:স্ব, এই অবস্থা, তাদের দলে আছেন সমাজের সম্মানিত কিছু মানুষও। যারা সাধারণ মানুষকে সুদের গুনাহর ভয় দেখিয়ে হালাল বিনিয়োগের লোভ দেখিয়েছেন। এসব কথায় বিশ্বাস করেই সাধারণ মানুষ এহসান গ্রুপে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে। যে গ্রুপের চেয়ারম্যান মুফতি মাওলানা রাগীব আহসান ।
২০০৮ সালে এহসান মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন রাগীব। তারপর সেই প্রতিষ্ঠান সামনে রেখে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছেন রাগীব আহসান। আর এসব ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের দেখান ৬৫ শতাংশ লাভের লোভ। এতেই পেছনে তাকাতে হয়নি তাকে।
২০১১ সালে শুরু করেন আবাসন ব্যবসা, এহসান রিয়েল এস্টেট নামে। এসব ব্যবসার নামে তুলতে থাকেন কোটি কোটি টাকা। কয়েক বছর মুনাফা দিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে এহসান গ্রুপ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, পবিত্র গ্রন্থের দোহাই দিয়ে তাদের বলা হয়েছিলো, এহসান গ্রুপে টাকা রাখলে হালাল বিনিয়োগ হবে।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে ২০১২ সালে মাইক্রো-ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি এহসান গ্রুপকে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা ও সঞ্চয় গ্রহণ না করার নির্দেশ দেয়। একই সঙ্গে অথরিটি নির্দেশ দেয় গ্রাহকদের সঞ্চয় ফেরত দেওয়ারও। কিন্তু তারপরও প্রায় এক যুগ ধরে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়েছে এহসান গ্রুপ।
তবে দীর্ঘ সময় পরে হলেও এহসান গ্রুপের চেয়ারম্যান রাগীব আহসানসহ মুল হোতাদের গ্রেপ্তার করে আইন আইনশৃঙ্খলা-বাহিনী। কিন্তু প্রশ্ন গ্রাহকরা কী তাদের টাকা ফেরত পাবেন?