ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,রোববার, ২২ জানুয়ারি ২০২৩ : ভারতে শুক্রবার আবারও প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত ধর্মগুরু রাম রহিম। সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। তার মতে, প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার অধিকার আছে সকলেরই। রাম রহিমেরও একই অধিকার আছে। এই বিষয়ে কথা বলা উচিত নয় বলেই মনে করেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, হরিয়ানার একাধিক নির্বাচনের সময় প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রাম রহিম। তাই বিরোধীদের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই রাম রহিমকে জেলের বাইরে রাখা হচ্ছে।
Advertisement
এমন অভিযোগের পালটা দিতে খট্টর বলেছেন, “আমি জানতাম না রাম রহিম প্যারোলে মুক্তি পেতে চলেছেন। যদি মুক্তি পেয়ে থাকেন, তাহলে সেটা তার অধিকার। সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার অধিকার আছে রাম রহিমের। এই বিষয় নিয়ে আমার কিছু বলা উচিত নয়।” শুক্রবার প্যারোলে মুক্তি প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রোহতকের ডিভিশনাল কমিশনার সঞ্জীব ভার্মা জানিয়েছেন, “রাম রহিমকে ৪০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দেয়া হয়েছে। যা হয়েছে তা নিয়ম মেনেই হয়েছে।” প্রসঙ্গত, প্যারোলের মেয়াদ শেষে গত বছর নভেম্বরেই জেলে ফিরেছিলেন রাম রহিম। মাত্র দু’মাসের মাথায় ফের প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
গত বছর জুন মাসে মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে তিন সপ্তাহের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন রাম রহিম। প্রতিবারই তার ছাড়া পাওয়া নিয়ে বিতর্ক ঘনিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে তার এত ঘনঘন মুক্তি পাওয়া নিয়ে। বিরোধীদের দাবি, যেখানে বহু আসামি তিন দশক ধরেও মুক্তি পান না, সেখানে রাম রহিমের ক্ষেত্রে এতবার প্যারোলে মুক্তির সিদ্ধান্ত কী করে নেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দু’টি ধর্ষণের ঘটনার অপরাধে কারাবাসের সাজা পেয়েছেন গুরমিত রাম রহিম। এছাড়াও তার ম্যানেজারকে খুনের দায়েও সাজা পেয়েছেন তিনি। ডেরার দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে রাম রহিমকে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল হরিয়ানার পঞ্চকুলা আদালত। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনার জন্য খুন হতে হয় এক সাংবাদিককে। সেই খুনের ঘটনায় আরও তিনজনের সঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন রাম রহিম। এছাড়াও ২০০২ সালে ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংকে খুনের ঘটনায় দোষীর তালিকায় রয়েছে তার নাম।
সূত্র: টাইমস নাউ।