ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,রোববার, ০৮ জানুয়ারি ২০২৩ : বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিন পেয়েছেন তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সপ্তম অতিরিক্ত ঢাকা মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার তার জামিন মঞ্জুর করেন।
ADVERTISEMENT
এর আগে, ফারদিনকে খুন করা হয়েছে দাবি করে বুশরাসহ অজ্ঞাতনামাদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন ফারদিনের বাবা। এরপর গত ১০ নভেম্বর সকালে রাজধানীর রামপুরার নিজবাসা থেকে বুশরাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর ডেমরা থেকে নিখোঁজ হন বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদরের সিদ্ধিরগঞ্জ বনানী ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ।
ADVERTISEMENT
ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা হত্যার কথা বললেও বিভিন্ন নাটকীয়তার পর পুলিশ ও র্যাব জানায়, ফারদিন স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন।
বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয় তার বন্ধু আয়াতুল্লাহ বুশরাকে। তদন্তে বুশরার সম্পৃক্ততা না পেলেও প্রায় দুই মাস জেলে থাকতে হয়েছে বুশরাকে। এতে বুশরা যে ট্রমার ভেতর সময় পার করেছে তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে? প্রশ্ন পরিবারের।
ADVERTISEMENT
রোববার (৮ জানুয়ারি) ঢাকার একটি আদালত বুশরার জামিন মঞ্জুর করলে বুশরার চাচা মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কোনো অপরাধ না করেও জেলে থেকে যে ট্রমার মধ্য দিয়ে গেল বুশরা, এর ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
পরিবারের দাবি এ ঘটনায় বুশরার বাবা ভেঙে পড়েছেন। তিনি এখন বুশরার পড়াশোনা ও পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
বুশরাকে নির্দোষ দাবি করেন তার চাচা মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিনা অপরাধে জেলে যাওয়ায় বুশরা এবং তার পরিবারের ভোগান্তি ছিল অন্তহীন।
গত ৭ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজের তিন দিন পর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ফারদিনের বাবা কাজী নুরউদ্দিন বাদী হয়ে রামপুরা থানায় মামলা করেন। এ ঘটনার সন্দেহে পুলিশ গত ১০ নভেম্বর বুশরাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপরই পুলিশ এবং র্যাবের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় ফারদিন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। যেখানে বুশরার সম্পৃক্ততা মেলেনি।
এদিকে ফারদিন হত্যা নিয়ে পুলিশ এবং র্যাবের ভাষ্য ‘আত্মহত্যা’ মানতে রাজি নন ফারদিনের বাবা।