স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুন, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গ্রেফতার আরও দুজন

SHARE

ফেনীর সেনাগাজীতে ডাকাতির পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ২। ছবি : ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি)

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ফেনীর সেনাগাজী প্রতিনিধি, শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ : ফেনীর সেনাগাজীতে ডাকাতির পর স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে হত্যার ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ADVERTISEMENT

শনিবার (৭ জানুয়ারি) র‌্যাব-৭ ও ৮ এর যৌথ আভিযানিক দল মঠবাড়িয়া থানাধীন চরদুয়ানী বাজার এলাকা থেকে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে।

ADVERTISEMENT

গ্রেফতাররা হলেন মঠবাড়িয়ার দক্ষিণ ভেচকি গ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে মো. রাকিব (২০) ও একই এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুস মালের ছেলে মো. আয়নাল মাল (৩২)।

ADVERTISEMENT

এর আগে গত গত ৩০ অক্টোবর রাতে মো. জাফর হাওলাদর (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার বেসকী টিকিকাটা এলাকার মো. আলতাফ হাওলাদারের ছেলে।
\
র‌্যাব সূত্র জানায়, অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়ী (৫৭) দীর্ঘদিন ধরে ফেনী জেলার সোনগাজী এলাকায় স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর পৌনে ২টার দিকে দুটি মোটারসাইকেলে এসে ডাকাত দলের চার সদস্য তার স্বর্ণের দোকানে প্রবেশ করে। এ সময় চাপাতি দিয়ে তাকে কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করে। একপর্যায়ে তারা দোকানের শোকেস ভেঙে ও লকার খুলে ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে। যার বর্তমান বাজারমূল্য আনুমানিক ২৮ লাখ টাকা।
ADVERTISEMENT

এ সময় অর্জুন চন্দ্রের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা ককটেল ফাটিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যান।

পরে গুরুতর আহত অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়ীকে ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তিনি মারা যান।
ADVERTISEMENT

পরে প্রত্যক্ষদর্শী ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজের মাধ্যমে জানা যায়, ডাকাত দলের দুটি মোটরসাইকেলের রং লাল ও কালো। এ ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে গত ১ নভেম্বর ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সোনাগাজী থানা পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে  মো. জাফর হাওলাদার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আসামির তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য সোনগাজী থানা পুলিশ র‌্যাবের সহায়তা চায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার (৭ জানুয়ারি) র‌্যাব আরও দুই যুবককে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের সময় আসামি মো. রাকিবের কাছ থেকে ডাকাতির সময় ব্যবহৃত লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেলটিও উদ্ধার করা হয়।

পরে গ্রেফতার আসামিরা ডাকাতি ও খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

র‌্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, গ্রেফতার আসামিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাগাজী মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।