ছাত্রলীগের মঞ্চ ভেঙে পড়া নিয়ে যা বললেন টুকু

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম একটা গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র আজকে বিলীন হয়ে গেছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নাই। এখন একজনতন্ত্র। উনি যা ইচ্ছা করেন, সেটাই রাষ্ট্রের ইচ্ছা, উনি যা ইচ্ছা করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারও ইচ্ছা দেশে চলে না।

এ অবস্থার পরিবর্তনে বিরোধী ঐক্যে গড়ে তোলার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আজকে একত্রিত হয়েছি যুগপৎ আন্দোলন করছি এই ‘একজনের ইচ্ছাকে’ ভেঙে বহুজনের ইচ্ছার দাম দেওয়ার জন্য।

ADVERTISEMENT

শুক্রবার বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ১০ম কংগ্রেসে টুকু  এসব কথা বলেন।

ADVERTISEMENT

রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শুরু হওয়া চার দিনব্যাপী এ কংগ্রেস শেষ হবে ৯ জানুয়ারি।

ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে দলীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এ কংগ্রেস শুরু হয়। গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জাতীয় ও দলটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক দলীয় পতাকা উত্তোলন করে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

ADVERTISEMENT

বিএনপির নেতা টুকু আরও বলেন, এ অবস্থার মধ্যে জনগণ আর থাকতে চায় না। আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। বাধা-বিপত্তি পার হয়ে চিড়া-গুড় নিয়ে একদিনের মিটিং তিনদিনে করেছি। নদী সাঁতরে মানুষ মিটিংয়ে এসেছে। তার অর্থ জনগণ এ সরকারকে আর চায় না।

ADVERTISEMENT

আগামী ১১ জানুয়ারি ঢাকাসহ সারাদেশে গণঅবস্থান কর্মসূচি হবে বলে জানান টুকু। তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে দেশে যে আন্দোলন হবে তাতে এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে। সেটা কিন্তু বেশি দূরে না। আমাদের অবস্থান প্রতিবাদ হবে ঐতিহাসিক। আমি এ কংগ্রেসকে আহবান করছি, জনগণ যে আমাদের যুগপৎ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে এ সরকারকে বুঝিয়ে দেয়, তাদের সঙ্গে মানুষ নেই। আমি মনে করি, জনগণ জেগে উঠেছে। অবশ্যই এ সরকারকে যেতে হবে। জনগণের কাছে কেউ টিকতে পারেনি, তারাও পারবে না।

সর্বত্র দুর্নীতি চলছে উল্লেখ করে টুকু বলেন, আজকে আমি একটু অবাক হলাম যে, মঞ্চ বানাতেও লুটপাট হয় এ দলে। সেটা আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই দলের সাধারণ সম্পাদক পড়ে যান। কারণ তো ওখানেও চুরি হয়েছে। ঠিক মতো মঞ্চ তৈরি হয় নাই। এখন ওদের ছাত্র সংগঠনের একজন জেলা নেতার কাছেও ২ হাজার কোটি টাকা পাওয়া যায়। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে লুটপাট হয় না এবং সেই লুটের টাকা আবার বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব আকবর খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মাক্সবাদী-লেলিনবাদী লিবারেশন) পলিটব্যুরোর সদস্য কার্তিক পাল, জাতীয়  সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার প্রমুখ বক্তব্য দেন।