জান্নাত, জাহান্নাম, দুনিয়া, আখিরাত, মানুষসহ সমগ্র সৃষ্টি আল্লাহ তাআলা সৃষ্টি করেছেন মানুষের কল্যাণের জন্য। শেষ দিবসে ভালো ও মন্দ আমলের উপর নির্ভর করবে কে কোথায় অবস্থান করবে। তার আগেই মানুষের জন্য বেহেশত এবং দোযখ উভয়েই আল্লাহ তাআলার মহান দরবারে সুপারিশ করতে থাকবে। যা হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্যে উঠে এসেছে-
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি তিনবার বেহেশত তালাশ করে, তাহলে বেহেশত আল্লাহর দরবারে আবেদন করে যে, হে আল্লাহ! তাকে বেহেশত দান করুন। আর যদি কোনো ব্যক্তি তিনবার দোযখ হইতে রেহাই চায়, তাহলে দোযখ আল্লাহর দরবারে আবেদন করে যে, হে আল্লাহ! তাকে দোযখ হতে মুক্তি দান করুন। (তিরমিজি)
যে ভাষায় জান্নাত কামনা করতে হবে-
اَللَّهُمَّ اَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ – اَللَّهُمَّ اَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ – اَللَّهُمَّ اَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাহ, আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাহ, আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাহ।`
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদিগকে বেহেশত দান করুন। (৩ বার)
যে ভাষায় জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাইবে-
اَللّهُمَّ اَجْرِنَا مِنَ النَّارِ – اَللّهُمَّ اَجْرِنَا مِنَ النَّارِ – اَللّهُمَّ اَجْرِنَا مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আযরিনা মিনান নার, আল্লাহুম্মা আযরিনা মিনান নার, আল্লাহুম্মা আযরিনা মিনান নার।`
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদিগকে দোযখ হতে মুক্তি দান করুন। (৩ বার)
পরিশেষে…
প্রত্যেক মুসলমানের উচিত প্রত্যেক নামাজের শেষে উক্ত আমলগুলোর মাধ্যমে জান্নাত এবং জাহান্নামের সুপারিশ লাভ এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।