মেট্রোরেলে যেসব অপরাধে জেল-জরিমানা

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ : রাজধানী ঢাকার গণপরিবহনে প্রথমবারের মতো যুক্ত হলো মেট্রোরেল। এটি গণপরিবহন হলেও অন্য সবগুলোর থেকে মেট্রোরেলের রয়েছে অনেক পার্থক্য। এটি একটি প্রযুক্তি নির্ভর পরিবহন ব্যবস্থা। বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় নিয়ম-কানুনের মধ্যে চলাচল করে এই ট্রেন।

শুরুতে মেট্রোরেল চলবে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত। উদ্বোধনের দিনই এ দুটি স্টেশন খুলে দেয়া হয়েছে। শেষ করা হয়েছে সব প্রস্তুতিও। মেট্রোরেলের এ অংশের বাকি সাতটি স্টেশনও পর্যায়ক্রমে খোলা হবে। মেট্রোরেলের সূচি ঠিক হবে যাত্রীদের চাহিদা বিবেচনা করে।

সুষ্ঠুভাবে মেট্রোরেল পরিচালনার জন্য সরকার ‘মেট্রোরেল আইন-২০১৫’ অনুমোদন করে। এ আইনের সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে ১০ বছর জেল ও ১০ কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। কোনও দুর্ঘটনা হলে ক্ষতিপূরণের বিধানও রাখা হয়েছে।

মেট্রোরেলে যাত্রী যে দূরত্বের জন্য টিকিট কাটবেন, তার চেয়ে বেশি পথ গেলে শাস্তি পেতে হবে। শাস্তি হিসাবে জরিমানা গুনতে হবে, নয়তো জেল খাটতে হবে যাত্রীকে। এজন্য ভাড়ার ১০ গুণ পর্যন্ত অর্থদণ্ড এবং তা অনাদায়ের ক্ষেত্রে অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

কোনও ব্যক্তি যদি অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের টিকিট বা পাস বিক্রি করেন, অথবা টিকিট বা পাস বিকৃত বা জাল করেন, তাহলে তিনি অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

কোনও ব্যক্তির দ্বারা যদি মেট্রোরেলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কাজ করেন, এর জন্য তিনি অনধিক পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

এছাড়া, কোনও ব্যক্তি যদি আইনানুগ কারণ ছাড়া মেট্রোরেল নির্মাণ, উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণসহ অন্য কোনও কাজে ইচ্ছাকৃতভাবে বাধা দিলে তাহলে অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।

 

কোনও ব্যক্তি যদি অননুমোদিতভাবে মেট্রোরেলের সংরক্ষিত স্থানে অনুপ্রবেশ করেন বা ওই স্থানে প্রবেশের পর মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার অধীনস্থ ব্যক্তির অনুরোধের পরও সেখানে অবস্থান করেন, এর জন্য তিনি অনধিক এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হবেন।