ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ প্রতিনিধি,মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২ : চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারের কিউসি (কাতার-কানাডা) টাওয়ার থেকে আটক জামায়াতের ১১ নারী সদস্যকে সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক তাদের জেলহাজতে পাঠান।
এর আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে অন্তর্ঘাত কার্যকলাপের পরিকল্পনার অভিযোগ এনে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।
মামলায় আটক ১১ নারীসহ নামীয় ১৫ জন ও অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার বাদী হাজীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল আলম।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাজীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স সঙ্গে নিয়ে হাজীগঞ্জ বাজারের কিউসি ভবনের ১১ তলার ‘বি’ ব্লকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। ফ্ল্যাটটি অবসর-উত্তর ছুটিতে থাকা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালামের। আটক নারীদের মধ্যে আব্দুস সালামের স্ত্রীও রয়েছেন। অভিযানে ওই বাসা থেকে জামায়াতের মতাদর্শের বই, প্রচারপত্র, চাঁদা আদায়ের রসিদ, নগদ টাকা ও দাওয়াতি কার্ডসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আটক নারীরা হলেন: জেলার কচুয়া উপজেলার বড়ইগাঁও গ্রামের নাছরিন খানম (৫২), হাতিরবন্ধ গ্রামের আঞ্জুমানারা লাকি (৪০), সাচার গ্রামের শাহনারা বেগম (৪৩), হাজীগঞ্জ উপজেলার বাড্ডা গ্রামের ফাতেমা বেগম (৪২), মকিমাবাদ গ্রামের হাছিনা বেগম (৪৭), ছিলাচো গ্রামের সালমা আহম্মদ (৪০), শাহরাস্তি উপজেলার রাগই গ্রামের জেসমিন আক্তার (৪৮), বানিয়াচো গ্রামের নিহারা বেগম (৫৭), বাদিয়া গ্রামের শিরিন বেগম (৪২), বেহেলা গ্রামের মাসুদা বেগম (৪২), নিজ মেহের গ্রামের সেলিনা আক্তার (৪৩)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জামায়াতের আমিরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতিসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে জামায়াতের নেতাকর্মীরা অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপের উদ্দেশ্যে হাজীগঞ্জ বাজারের কিউসি টাওয়ারে গোপন বৈঠক করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ২০ থেকে ২৫ জন সদস্য পালিয়ে গেলেও ১১ জন নারী সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় জামায়াতের মতাদর্শের বই, নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ জানান, আটক নারীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার নামীয়সহ অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।